আবদুল মান্নান,মানিকছড়ি: বৈশ্বিক মহামারি নোভেল-১৯‘করোনা’ ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারী বিধি-নিষেধে মানুষজন গৃহবন্দি ও কর্মহীন। ফলে জনপদে খাদ্যসংকট ও ‘করোনা’র প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সরকারী নিদের্শনা পালনে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে জীবনযুদ্ধের অগ্রনায়ক সেজে অবিরাম ছুঁটে চলেছেন মানিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন, নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রতন খীসা। ‘করোনা’ প্রতিরোধে প্রাণপণ চেষ্টায় এখনো পর্যন্ত ‘করোনা’মুক্ত জনপদে প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন তাঁরা।
বৈশ্বিক মহামারি নোভেল-১৯‘করোনা’ভাইরাস বিশ্বের অর্থনীতি,রাজনীতি ও প্রভাব বিস্তারে ক্ষমতাবান শক্তিধর শাসকদের তছনছ করে দিয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ও পরিত্রাণে কাজ করছে বিশ্বের মহাজ্ঞানী-মহাজনরা। বাংলাদেশ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা দেশে ‘করোনা’র বিস্তাররোধে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নানাবিদ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। মানিকছড়ি উপজেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রশাসনের নির্দেশনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, ডাক্তার, সিএইচসিপি, পল্লী চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী,আনসার ব্যাটালিয়ন,জনপ্রতিনিধি, সংবাদকর্মী, রেড ক্রিসেন্ট, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা স্বপ্রণোদিত কাজ করছেন অবিরাম।
আর এসব কর্মযজ্ঞ পরিচালনা ও দিক-নির্দেশনা দিতে গত দেড় মাস ধরে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন, নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রতন খীসা। হাট-বাজার ও লোকালয়ে জনসমাগম প্রতিরোধ,সরকারী ত্রাণ-সামগ্রী নিন্মবিত্ত, অতি নিন্মবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও অসহায়দের মাঝে ত্রাণ-সামগ্রী বিতরণ, ত্রাণ-বঞ্চিত ক্ষর্ধাতের দৌড়গোড়ায় ত্রাণ পৌছে দেওয়া, চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণে আইসোলেশন ও প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টাইন প্রস্তুতকরণ ও ‘করোনা’ টেস্টে নমুনা সংগ্রহ এবং পরীক্ষাগারে প্রেরণসহ সকল কাজে চমৎকার সমন্বয়ের উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন তাঁরা। এ পর্যন্ত এ উপজেলায় জি.আর বরাদ্দে প্রাপ্ত ১শ ৭৫ মে.টন চাউল, শুকনা খাবার ক্রয়ে নগদ ৭ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা, শিশু খাদ্য বিতরণে ২ লক্ষ টাকা বিতরণ চলমান রয়েছে। এছাড়া পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জেলা পরিষদের উদ্যোগে( স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ) বিতরণ করা হয়েছে ২০মে.টন খাদ্যশস্য।
সরকারের এসব ত্রাণ-সামগ্রী যথাস্থানে সুষ্ট ও সমবন্টনে নজরদারী করছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ।
আবার কখনও কখনও হাট-বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও জনসমাগম প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে ইউএনও তামান্না মাহমুদ নিজে,আবার কখনও সহকারী কমিশনার(ভূমি) রিফাত আসমা’কে পাঠিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি অনুকূলে রেখেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ। উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ত্রাণ-সামগ্রী বিতরণ মনিটরিংসহ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ‘মানবিক সহায়তা কার্ড’ প্রস্তুতকরণে চেয়ারম্যান, মেম্বার’দের প্রেরিত তালিকা ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায়ে যাচাই-বাছাইয়ে কর্মকর্তা নিয়োগসহ সকল কাজেই জনপদে প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ। এদের পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রতন খীসা, অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন, স্থানীয় সেনা ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. ফয়সাল মাহমুদ শুভ, ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ফারুক, মো. শহীদুল ইসলাম মোহন, ক্যয়জরী মহাজন, মো. আবুল কালাম আজাদসহ সকল বিভাগীয় অফিসার ,সাংবাদিক, যুব রেডক্রিসেন্ট,স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো সরকারের ‘করোনা’ প্রতিরোধ কার্যক্রমে প্রশাসনকে সহযোগিতায় নজির সৃষ্টি করেছেন।
ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে‘করোনা’ প্রতিরোধে জনবান্ধব কার্যক্রমে প্রশংসার ঝড় কুঁড়িয়েছেন নিয়েছেন উপজেলা দুই শীর্ষ কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ।
এ প্রসঙ্গে ইউএনও তামান্না মাহমুদ বলেন, জেলার প্রবেশদ্বার মানিকছড়ি ‘নয়াবাজার চেকপোস্টে বহিরাগত ঠেকাতে প্রতিনিয়ত নজরদারী,আগতদের হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিতকরণ, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনের ব্যবস্থা করা,আইসোলেশন স্থাপনসহ সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং মানবিক দায়িত্ব থেকে সকলের সমন্বেয়ে কাজ করে যাচ্ছি। উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সকল জনপ্রতিনিধি,কর্মকর্তা, পুলিশ,সেনাবাহিনী,সংবাদকর্মী,স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সকলের সহযোগিতায় এখন পর্যন্ত আমরা সফল। উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন বলেন,‘বৈশ্বিক মহামারি নোভেল-১৯,‘করোনা’ ভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ, সকল জনপ্রতিনিধি,সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং আনসার ব্যাটালিয়নসহ সকলের সমন্বয়ে ‘করোনা’র প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় উপজেলার জনমানুষ খুবই সন্তুষ্ট।