খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকে হত্যা চেষ্টায় সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীসহ ১২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

শেয়ার করুন

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাভিশনের জেলা প্রতিনিধি এইচ এম প্রফুল্ল-কে হত্যা চেষ্টাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাভাবে হেনস্থার অভিযোগে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ১২০ জনের নামে মামলা হয়েছে।

২৬ আগষ্ট মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি আমলী আদালতের বিচারক তারেক আজিজ রায়হান-এর আদালতে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাভিশনের জেলা প্রতিনিধি এইচ এম প্রফুল্ল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

আদালত খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের নিদ্দেশ দিয়েছে। মামলায় কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক চন্দন কুমার দে, মাইন উদ্দিন ভুটো, নুরুল ইসলাম, এম এফ রাব্বি, মোহাম্মদ মেহেদীন হাসান, রহিম মিয়া নাঈম ওরফে আরেফিন নাঈমসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ আরো ১২০ জন অজ্ঞাত একাধিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বাদীর পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট ও খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের আইনজীবি অ্যাডভোকেট মোঃ আফছার হোসেন রনি। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৪ আগষ্ট দুপুরে খাগড়াছড়িতে ছাত্র-জনতার হামলার সংবাদ সংগ্রহের সময় সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের উপর হামলায় চালায়। বাংলাভিশনের খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি এইচ এম প্রফুল্লসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়। সাংবাদিক এইচ এম প্রফুল্ল মারাত্মক হয়।

৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর সাংবাদিক এইচ এম প্রফুল্ল আওয়ামী লীগের শাসনামলের নানা সন্ত্রাস, দূর্নীতি-অনিয়মের সংবাদ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করায় কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও তার সহযোগিরা একাধিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাংবাদিক এইচ এম প্রফুল্ল, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি’র সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া ও খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি তরুণ কুমার ভট্টাচার্য এর বিরুদ্ধে মান হানীকর পোষ্ট দিয়ে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আফছার হোসেন রনি বলেন, “আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমরা আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ চাই।