খাগড়াছড়ির স্থগিত কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর

Homeস্লাইড নিউজশিরোনাম

খাগড়াছড়ির স্থগিত কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর

নূর মোহাম্মদ হৃদয়, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে স্থগিত হওয়া পাঁচ কেন্দ্রের নির্বাচন ত্রিশ ডিসেম্বর।  জেলার  দীঘিনালা উপজেলার  দুই

লক্ষ্মীছড়িতে প্রার্থীদের আচরণবিধি সংক্রান্ত বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভা
ব্যালট ছিনতাই, গাড়ি ভাংচুর, কেন্দ্র স্থগিত এর মধ্য দিয়ে পানছড়ি ৫ইউপির নির্বাচন সম্পন্ন
পানছড়ি ৫ইউপিতে মনোনয়ন পত্র জমা
নূর মোহাম্মদ হৃদয়, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে স্থগিত হওয়া পাঁচ কেন্দ্রের নির্বাচন ত্রিশ ডিসেম্বর।  জেলার  দীঘিনালা উপজেলার  দুইটি ইউনিয়নের  চারটি কেন্দ্রে এবং মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি ইউপির একটি কেন্দ্রে নির্বাচন হচ্ছে এদিন।  তবে নিরাপত্তা নিয়ে ভয় ও শঙ্কায় ভোটার ও অনেক প্রার্থী। আশংকার কথা জানিয়ে এক মেম্বার প্রার্থী বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট  কেন্দ্রে সারাদিন বসে না থাকলে ভোট ডাকাতি ঠেকানো যাবে না।
দীঘিনালা উপজেলার দুই ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একটিতে স্বতন্ত্র ও একটিতে নৌকার প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে থাকার কারণে তেমন ঝুঁকি না থাকলেও মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি ইউপিতে ভীষণ শংকা ও উৎকন্ঠায় রয়েছেন ভোটার ও অনেক প্রার্থী।
নিরাপত্তার বিষয়ে মহালছড়ি উপজেলা নির্বাচন অফিসার সুসমিকা চাকমা বলেন, মাইসছড়ি কেন্দ্রটি যেহেতু রিস্কি তাই নিরাপত্তা বাহিনীর সংখ্যা   যেমন বাড়ানো হবে তেমনি  প্রয়োজনে  সাবর্ক্ষনিক ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকবেন ।
নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজাই মারমা বলেন, এ ওয়ার্ডে ১৩০৫ ভোটের মধ্যে ৩৮ জন মারা গেছেন এবং ১২জন বিদেশে আছেন। অবশিষ্ট ১২৫৫ জনের মধ্যে অধিকাংশই বিএনপির কমী সমর্থক যারা কখনো নৌকায় ভোট দেয়নি এবং দিবেও না। তারা আমাকে ভোট দিয়ে চার বার চেয়ারম্যান বানিয়েছিলেন এবং এবারও বানাবেন ।  আর আমার প্রতিদ্বন্দ্বি গিয়াস উদ্দিন তিনবার মেম্বার নির্বাচনে এবং গতবার চেয়ারম্যান নির্বাচনে ব্যথ হয়েছেন। কাজেই  ১১৯৯ ভোটে এগিয়ে আছি মানে আমি বিজয়ী হয়েই আছি।
নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে নৌকার প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন বলেন, অন্য আট ওয়ার্ডের চেয়ে এই ওয়ার্ডের বিষয়টি আলাদা। এখানে সব ভোটার বাঙ্গালী। স্থানীয় নির্বাচনে সাম্প্রদায়িকতার একটা বিষয় থাকে। কাজেই সব ভোটারকে উপস্থিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে । আশাকরি সব ভোটারকে উপস্থিত করা সম্ভব হলে আমি নিশ্চিত জয়ী হবো।
মাইসছড়ি ইউপিতে স্থগিত হওয়া ০২ নং ওয়ার্ডের কেন্দ্রে ভোটার রয়েছে ১৩০৫ টি। তন্মধ্যে ৩৮ জন মারা গেছেন  এবং ১২ জনের অধিক প্রবাসে আছেন অবশিষ্ট১২৫৫ভোট হতে   নৌকার দরকার ১২২৯  ভোট । আর আনারসের দরকার  শুধু  ২৮ ভোটের।  গত ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচনে মাইসছড়ি ইউপির আট কেন্দ্রের  সবোর্চ্চ  আশি শতাংশ ভোট পড়েছে একটি কেন্দ্রে আর গড়ে ৬৩ শতাংশ ।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির খাগড়াছড়ি সমাবেশে সবোর্চ্চ  সংখ্যক কমী উপস্থিতির উদ্যোগ রয়েছে দলটির। সমাবেশ কেন্দ্র করে কমপক্ষে উক্ত স্তগিত ২ং ওয়ার্ডের  ২০০-৩০০ জন কমী উপস্থিতি থাকবেন বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এটি আওয়ামী লীগের জন্য অভিশাপ হতে পারে বলে মনে করেন অভিজ্ঞমহল।