খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উদযাপন

স্টাফ রিপোর্টার: “শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন করা হয়েছে। ১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে জেলা শিশু একাডেমি’র মিলায়তনে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফেরদৌসী বেগম’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।

এদিন আলোচনা সভার পরপরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণীর পরে শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা’র পুলিশ সুপার নাইমুল হক পিপিএম, ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন, জেলা তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী, জেলা বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন আহমেদ, শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা উষানু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষিকা ত্রিনা চাকমা প্রমুখ।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল শিশুকালে খুবই চঞ্চল, দূরন্তপনা ও প্রাণবন্ত ছিল। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার আদরের সন্তান ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রিয় লেখক খ্যাতিমান দার্শনিক ও নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব বারট্রান্ড রাসেলর নামানুসারে পরিবারের নতুন সদস্যের নাম রাখেন ‘রাসেল’। এই নামকরণে মা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। শৈশব থেকেই দুরন্ত ও প্রাণবন্ত রাসেল ছিলেন পরিবারের সবার অতি আদরের। কিন্তু মাত্র দেড় বছর বয়স থেকেই প্রিয় পিতার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের একমাত্র স্থান হয়ে ওঠে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট। তবে সাত বছর বয়সে ১৯৭১ সালে তিনি নিজেই বন্দি হয়ে যান।

Read Previous

মহালছড়িতে নানা আয়োজনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন

Read Next

ইঁদুর নিধনে, ইঁদুর ভক্ষক প্রাণীদের রক্ষাকরা জরুরী: কৃষিবিদ হাসিনুর রহমান