অনিকা চাকমার একমাত্র গোলে লক্ষ্মীছড়ির মরাচেঙ্গী স্কুল চ্যাম্পিয়ন

মোবারক হোসেন:  মনিকা চাকমা আর অনিকা চাকমা দুই বোন। মনিকা চাকমা ৭ নাম্বার জার্সি পরে জাতীয় দলের খেলছেন আর অনিকা চাকমা খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ৪৭তম বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা গ্রীস্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় মরাচেঙ্গী জুনিয়র হাইস্কুলের হয়ে ৭ নাম্বার জার্সি পরে প্রথমবারের মত উপজেলা পর্যায় খেলছেন। অনিকা খেলেন আক্রমন ভাগে। বলছি মরাচেঙ্গী জুনিয়র হাইস্কুলের ১০ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী অনিকা চাকমার কথা। এই অনিকা চাকমাকেই দেখা গেলো শনিবার(৮ সেপ্টেম্বর) লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা পরিষদ মাঠে। অনিকা চাকমার দেয়া এক মাত্র গোলেই জয় নিশ্চিত করে মরাচেঙ্গী জুনিয়র হাইস্কুল। উপজেলা চ্যাম্পিয়ন হয়ে খেলবেন জেলা পর্যায়।

খেলা শুরু হয় ২টা ৯মিনিটে। প্রথমার্ধের ২১ মিনিটের মাথায় ১২ নাম্বার জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় অন্তরা চাকমার পাস দেয়া বলে প্রতিপক্ষ ফাউল করলে ফ্রি কিক এর সুযোগ নিয়ে প্রায় মধ্য মাঠ থেকে কিক করে গোল রক্ষক কনিকা চাকমাকে বোকা বানিয়ে একমাত্র জয় সূচক গোল করে দলকে এগিয় রাখেন। এর পর গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে প্রতিপক্ষ দলীয় অধিনায়ক নিশানা চাকমার দল।

আক্রমন পাল্টা আক্রমন করেও শেষ পর্যন্ত ১-০গোলে বর্মাছড়ি জুনিয়র হাইস্কুলকে পরাজিত করে মরাচেঙ্গী জুনিয়র হাইস্কুল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এর আগে উদ্বোধনী ম্যাচে দুল্যাতলী জুনিয়র হাইস্কুলকে এবং দ্বিতীয় রাউন্ডে মংহলা পাড়া জুনিয়র হাইস্কুলকে পরাজিত করে ফাইনালে আসে মরাচেঙ্গী জুনিয়র হাইস্কুল। অপর দু’টি খেলায় অনিকা চাকমার নিজে গোল করার পাশাপাশি সতির্থ খেলোয়াড়কে দিয়ে গোল করিয়েছেন অনিকা চকমা। খেলা পরিচালক রেফারি ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, অনিকা চাকমা সত্যিই ভালো খেলে। সঠিক অনুশীলনের সুযোগ পেলে বড় খেলোয়াড় হতে পারবে। কথা হয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অংসা থুই মারমার সাথে। তিনি বলেন, অনিকা চাকমার দুর্দান্ত খেলার ফলেই আমরা চ্যাম্পিয়ন ট্রপি নিতে পেরেছি, বিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষা হয়েছে। দলের সবাই ভালো খেলেছে। অনিকা চাকমার এগিয়ে যাওয়ার পেছনে আমাদের সহযোগিতা তো অবশ্যই থাকবে পাশাপাশি ফুটবল খেলাকে আরো সম্মৃদ্ধ করতে সকলেল সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

এদিকে ছোট বোন মনিকা চাকমা বাংলাদেশ জাতীয় টীমে মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল দলে খেলছেন।  একই সাথে অনিকা চাকমা জাতীয় দলে খেলার বাছাই পর্বে অসুস্থ্য জনীত কারণে অনুশীলনে অংশ নিতে না পারায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাদ পরেন। তবে গ্রীস্মকালীন ফুটবল প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে আবারো নতুন করে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আলোর মুখ দেখবে বলে মনে করেন অনেকেই।

Read Previous

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে মানিকছড়িতে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

Read Next

খাগড়াছড়িতে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ, কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা