চন্দ্রঘোনায় বেপরোয়া মাদক পাচার চলছে, বিপদগামী হচ্ছে যুব সমাজ

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনায় একাধিক ষ্পটে মাদকের হাট বসে। হাত বাড়ালে সহজেই পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবাসহ মরণনেশা জাতীয় দ্রব্য। একাধিক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বেপরোয়া ভাবে মাদকদ্রব্যের পাচার চলছে। মাদকের ভয়াল গ্রাসে যুবসমাজ। প্রভাবশালী চক্র প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার মাদক বানিজ্যে জড়িত বলে জানা গেছে। চন্দ্রঘোনায় বিভিন্ন স্পটে সহজে নেশা জাতীয়দ্রব্য প্রাপ্তিতে তরুন-তরুনীরা নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। ইয়াবা সহ বিভিন্ন ধরনের মাদক পরিবহন এবং সেবন সহজ হওয়ায় দ্রুত এর থাবা বিস্তৃত হচ্ছে।

স্কুল ছাত্র মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, দিন দিন ইয়াবা আসক্তের সংখ্যা বাড়ছে। ইয়াবা পরিবহণ সহজলভ্য হওয়ায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়ানো যায়। তাই এর চোরাচালান আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাদকাসক্তের বড় অংশ দেশীয় মদ, গাঁজা, হোরোইন এবং ফেনসিডিল-এ আসক্ত হলেও পরিস্থিতির নতুন মাত্রা আতঙ্কের। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে তরুন-তরুনীরা ইয়াবা ট্যাবলেটে আসক্ত হচ্ছে বেশী।

নাম প্রকাশে অনিশ্চুক মিশন এলাকার এক সেবিকা (নার্স) জানান, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শেষ সীমান্ত চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে মিশন খিয়াং পাড়া এলাকায় ইয়াবা ট্যাবলেট সহ বিভিন্ন মাদক বানিজ্য জমজমাট চলছে। বেপরোয়া মাদক ব্যবসায় রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনেছে চক্রটি। এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। চক্রটির দাপটে মাদকের অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আপত্তি করার সাহস পায়না কেউ। কথিত মানবাধিকার নেতার পরিচয়ে এক উপজাতীয় ব্যাক্তি এসব অপকর্ম চালাচ্ছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। রাঙ্গুনিয়া এবং কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা খিয়াং পাড়া সীমান্ত হওয়াতে এলাকাটি প্রশাসনের আড়ালে থেকে যাচ্ছে।

জানা যায়, উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের লিচুবাগান, দোভাষীবাজা, ফেরিঘাট, বনগ্রাম, সাবষ্ঠেশন এলাকা, ইকোপার্ক এলাকা, মিশন খিয়াং পাড়া, মিশনঘাট এলাকা, পুর্বচন্দ্রঘোনার হিন্দুপাড়া, চন্দ্রঘোনা আবাসিক এলাকা, চাষীফার্ম এলাকায় একাধিক সিন্ডিকেট মাদক বিক্রি হচ্ছে।

সিএনজি চালক বোরহান কবির বলেন, বোরকা পরিহিত ১০/১২ জন মহিলা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে লিচুবাগান থেকে চট্টগ্রাম শহরে অভিনব কায়দায় শরীরের সাথে বেঁধে চোলাইমদ পাচার করছে। বেপরোয়া মাদক বানিজ্য এবং নানা অপরাধ তৎপরতায় জড়িত মাদক সম্রাটের কাছে রহস্যজকভাবে ম্যানেজ হয়ে যায় প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তারা। বিভিন্ন অপরাধের জড়িত ব্যাক্তিদের কাছে থেকে চুক্তিভিত্তিক মাসোহারা নিচ্ছে কতিথ ক্যাশিয়ার। যার ফলে প্রতিদিন ভোর রাতে কিম্বা গভীর রাতে সিএনজি টেক্সী, প্রাইভেটকার, মাইক্রোসহ বিভিন্ন যাহবাহনে মাদকের চালান পরিবহন করা হয়।
এক স্কুল শিক্ষক বলেন, চন্দ্রঘোনা মাদক বানিজ্যের সম্্রাজ্যে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর বার বার অভিযানের কথা শুনা গেলেও একদিনের জন্য মাদক বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। কোন কোন সময় আইন শৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থার লোকজনের হাতে গ্রেফতার হলেও বিস্ময়করভাবে ছাড়া পেয়ে যায় মাদক সম্রাটরা।

এলাকাবাসী জানায়, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যরা মাদক ব্যবসা প্রতিরোধের চেষ্টা চালিয়ে গেলেও থামছেনা এর বানিজ্য। এলাকায় বহাল তবিয়তে মাদকের ব্যবসা চলতে দেখা যায়। প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা প্রশাসনিক প্রতিবন্ধকতা ম্যানেজ করে নির্বিঘেœ দাপটের সঙ্গে মাদকের বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। ফলে এখানে বন্ধ হচ্ছেনা মাদক বানিজ্যের দৌরাত্ম।

Read Previous

বাটনাতলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কমিটি ঘোষণা

Read Next

লক্ষ্মীছড়িতে ছেলে ধরা সন্দেহে চার যুবক আটক