মো. ইসমাইল হোসেন: মানিকছড়িতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই মানব সেবায় সর্বদা কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলার চার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, সচিব ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যো
মো. ইসমাইল হোসেন: মানিকছড়িতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই মানব সেবায় সর্বদা কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলার চার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, সচিব ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা। ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে থাকেন। চলমান করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যখন গৃহবন্দী মানুষ কিন্তু গৃহবন্দী হয়ে থাকতে পারছেনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সচিব ও উদ্যোক্তারা। সকলে যখন নিজেকে নিরাপদ রাখতে ঘরে থাকছেন ঠিক তখনই তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবোধায়নে ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মহীন খেঁটে-খাওয়া দিনমজুর, অসহায় ও নি¤œ আয়ের পরিবারের নামের তালিকা ও বিদেশ ফেরত নাগরিকদের নামের তালিকার কাজ করে যাচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তারা।
ত্রাণ বিতরণ থেকে শুরু করে সব ধরণের তালিকা কম্পিউটারাইজ করণ, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে জনসচেতনতা সৃষ্টি, বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান, সরকারি সকল প্রতিবেদন প্রেরণ, প্রচার-প্রচারণাসহ সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করতে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস উপেক্ষা করেই জীবনের মায়া ত্যাগ করে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। দেশের এমন পরিস্থিতিতে বেতন-ভাতাবিহীন এসব উদ্যোক্তা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে দূর্বিসহ জীবন যাপন করছে। সংকোচের কারণে নিজের দূরাবস্থার কথাও কাউকে বলতে পারছেনা।
তাদের এ অসহায় মূহুর্তে তারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা এবং প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পিপিই ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। দেশের এই সংকটময় মুহুর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানবেতর কাজ করে যাচ্ছেন তারা। কিন্তু তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কোন উপকরণ এখন পায়নি।
মানিকছড়ি উপজেলার একাধিক উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, সরকারের যে কোন উদ্যোগকে যথাযথ বস্তবায়নের লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের সাথে সম্বনয় রেখে ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয় পরিষদ চেয়াম্যান-সচিবদের সাথে এক সাথে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের এখন পর্যন্ত কোন গতি হয়নি। বিনা বেতন-ভাতায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তবে দেশের এ পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের পর মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের আলোকে চলমান হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে সরাসরি নিয়োগ অথবা বেতন-ভাতা প্রদান কারা ও জাতীয়করণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সচিব জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির এ সময়ে ইউপি চেয়ারম্যান, সচিব ও গ্রাম পুলিশসহ অন্যান্যদের পাশাপাশি উদ্যোক্তারাও কঠোর ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সকল কাজে তাদের সহযোগিতা রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানান যায়, পর্যাপ্ত উপকরণ (পিপিই) সংকট থাকায় উদ্যোক্তাদের সুরক্ষা সামগ্রী দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্ব-স্ব ইউপি চেয়ারম্যানদের সংশ্লিষ্ট ইউপি সকল কর্মচারীদের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে।