থামছে না কাঠ পোড়ানো: গুইমারাতে অবৈধ ইট ভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা
স্টাফ রিপোর্টার: গুইমারা উপজেলার বাইল্যাছড়িতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ইটভাটায় ৫০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২৫এপ্রিল বুধবার সকালে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়ার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে জেলা প্রশাসনের অনুমোদন ও ছাড়পত্র বিহীন ইট ভাটা স্থাপন, অবৈধভাবে কাঠ পোড়ানো, পরিবেশ দুষণ সহ বিভিন্ন অপরাধে গুইমারা বাইল্যাছড়ি এলাকার মেসার্স কে.সি ব্রিকস্ ম্যানুফ্যাকচারিং নামের অবৈধ ইট ভাটাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করে ডি.সি.আর মুলে তাৎক্ষনিক তা আদায় করা হয়।
এসময় ভাটার অভ্যন্তরে প্রচুর পরিমাণে অবৈধভাবে জ্বালানি কাঠ মজুর ও শিশুদের দিয়ে ইট ভাটায় ঝুকিপুর্ণ কাজ করার প্রমাণ পাওয়া যায়। ইটভাটার মালিক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী মোঃ কামাল উদ্দিন বিগত কয়েক বছর যাবৎ স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এলাকায় অবৈধ ভাবে ইট ভাটার স্থাপন করে পরিবেশ দুষণ করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। অভিযান চলাকালে ভাটার মালিক মোঃ কামাল উদ্দিনকে পাওয়া যায়নি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, উপজেলার অনুমোদনবিহীন সকল ইটভাটার বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালান করা হবে। একইসাথে জনস্বার্থে ভোক্তা অধিকারসহ অন্যান্য আইনেও নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করার আশ্বাস দেন তিনি। এসময় গুইমারা থানার এ,এস.আই মাইন উদ্দিনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গুইমারা উপজেলার ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত বাইল্যাছড়ি এলাকা ছাড়াও গুইমারা উপজেলা সদরের অদুরে আমতলীপাড়া এলাকায় একই স্থানে পাশাপাশি দুইটি অবৈধ ইট ভাটায় প্রতিনিয়ত কয়লার পরিবর্তে জ্বালানি হিসেবে হাজার হাজার বনজ কাঠ পোড়ানোর মহোৎসব চলছে। প্রভাবশালীদের এসব অবৈধ ইটভাটায় শুধু ভ্রাম্যমান আদালতের অর্থদন্ড নয়, পাশাপাশি বৈধ উপায়ে পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতিতে ইট তৈরীর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা অন্যথায় প্রশাসনের প্রতি এসব ইটভাটাগুলো বন্ধ করে দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।