দীঘিনালার বাদল হত্যাকান্ডে নির্দোষ ব্যক্তিদের হয়রানির থেকে মুক্তির দাবি

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বোয়ালখালী অনাথ আশ্রম এলাকায় বাদল হত্যাকা-ের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের মাধ্যমে নির্দোষ ব্যক্তিদের হয়রানি থেকে মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। রোববার দুপুরে খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ভূক্তক্তভোগী নাসির উদ্দিন। এসময় বাদল হত্যাকান্ডের ভুক্তভোগী মোঃ ছিদ্দিক, মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং মোঃ নাসির উপস্থিত ছিলেন। বাদল হত্যায় জড়িত না থাকা সত্তেও আসামী করার অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মলনে।

ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, দীঘিনালার মধ্য বোয়ালখালী অনাথ আশ্রম এলাকার ভাড়া দোকানের পাশের ঝুপড়ি বারান্দায় খুন হয় মো: বাদল। বিষয়টি জানাজানি হয় ৫ সেপ্টম্বর ২০১৬ সকালে। সেদিনেই নিহত বাদলের শ্যালক মো: আবু বক্কর সিদ্দিক অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে মামলার এজাহার করলেও হত্যাকা-ের জড়িত সন্দেহভাজন দেখিয়ে ৪ জনকে আসামী করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।

ঘটনার দিন সকালে নিহত বাদলের অসুস্থ স্ত্রী কুলসুম বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সিএনজি চালক মো: আনোয়ার হোসেন। এরই সূত্র ধরে হত্যাকান্ডের বিষয়টি প্রকাশ পেলে স্থানীয় পিসি মো: নাসির উদ্দিনকে পুলিশ থানায় ডেকে নেয়। লাশ নিয়ে যেতে সহযোগিতা করা মো: নাসির উদ্দিন ও পরবর্তীতে ফোন করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায় মো: সিদ্দিককে।  পরে তাদের ৪জনকেই মামলায় আসামী দেখিয়ে চালান করা হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে। ভুক্তভোগীরা এ হত্যাকা-ের জন্য বাদলের স্ত্রী ও মামলার বাদীকে অভিযুক্ত করে তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার আসল রহস্য উন্মোচনের মাধ্যমে নির্দোষ ৪ ব্যক্তিকে হয়রানির হাত থেকে রেহাই দিয়ে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। বাদল হত্যায় জড়িত না থাকা স্বত্বেও আসামী করার অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মলনে।

Read Previous

খাগড়াছড়িতে স্ত্রী নির্যাতন মামলায় স্বামীর ১০ বছর সাজা

Read Next

বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণামূলক অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ