পানছড়িতে শিক্ষার্থী পর্যটকদের অপহরণের চেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার: পানছড়ি উপজেলার শান্তিপুর অরণ্য কুটিরে পর্যটক হয়ে আসা কয়েকজন শিক্ষার্থীদের অপহরণের চেষ্টা চালিয়েছে একদল অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী। পর্যটকরা সবাই খাগড়াছড়ি ট্যাকনিক্যাল স্কুলের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। ১০ জানুয়ারি বুধবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আইন শৃংখলা বাহিনীর সূত্র মতে জানা যায়, ১৫জন শিক্ষার্থী পর্যটক পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুটির পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে বাউরা পাড়া নামক স্থানে ইউপিডিএফ‘র ৫/৬ জনের একটি গ্রে“প এদের লাঞ্চিত করে। এদের মধ্যে বাঙ্গালী ছাত্র ৭জন ও ছাত্রী ২জন পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। পালিয়ে আসা শিক্ষার্থীরা হলো মোঃ আরিফুল ইসলাম (১৮) খাগড়াছড়ি সদর, মোঃ জাহিদুল ইসলাম (১৮) কলাবাগান খাগড়াছড়ি সদর, আমিনুল ইসলাম (১৮) খাগড়াছড়ি সদর, নাহিদ হাসান (২০) খাগড়াছড়ি সদর, টমটম চালক পাচু চাকমা (১৮) খগরাপুরিয়া খাগড়াছড়ি মোঃ শাহজাহান (১৮), মোঃ শাহিন মিয়া (১৮) সদর, শারমিন আক্তার (১৮), ফাতেমা খাতুন (১৮)‘কে মারধর করার এক পযায়ে পালিয়ে আসে। এসময় এদের কাছে থাকা ডিএসএলআর একটি ক্যামেরা রেখে দেওয়ার চেষ্টা করে সফল হতে পারেনি সন্ত্রাসী গ্রে“পটি। অপর দিকে ৪জন উপজাতীয় মেয়ে শিক্ষার্থীকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। এরা হলো ক্রাইযুরী মারমা (১৭), ঝড়না মারমা (১৮) সিঙ্গিনালা, চলিতা ত্রিপুরা (১৮) খাগড়াছড়ি সদর, সুজিতা ত্রিপুরা (১৮) খাগড়াছড়ি সদর। ইউপিডিএফ‘র দুই দিনের সড়ক অবরোধে জ্বালাও পোড়াও এর কারণে পর্যটন শিল্পে ব্যপক ধস নামার আশংখ্যা করছে বিশেজ্ঞরা।
ঘটনার খবর পেয়ে পানছড়ি সাব জোনের জোন অধিনায় মেজর মাহি আহম্মেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে ভাইবোনছড়া সেনা ক্যাম্পে পরিবারের হাতে হস্তান্তর করে।
পানছড়ি থানা অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, পাহাড়ি মেয়েরা বাঙ্গালী ছেলে/মেয়েদের সাথে দেখে এমন ঘটনা ঘটেছে।