পুলিশের অপরাধের অভিযোগ করব কার কাছে?

স্টাফ রিপোর্টার: সাধারণ আমাদের দেশে সংঘঠিত যে কোন অপরাধ বা অভাব অভিযোগের সমাধান পাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষ পুলিশের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু পুলিশ যদি অপরাধের সাথে জড়িত হয়ে পড়ে বা পুলিশ কর্তৃক সৃষ্ট অপরাধের অভিযোগ করব কার কাছে?” পুলিশের কাছে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের প্রশ্ন। ২৮এপ্রিল শনিবার সকালে খাগড়াছড়ি’র গুইমারা থানায় ওপেন হাউজ ডে ও কমিউনিটি পুলিশিং সভায় এমন প্রশ্নের অবতারনা করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন গুইমারা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ জায়নুল আবদীন।

“পুলিশই জনগণ, জনগণই পুলিশ” এই স্লোগান কতটা বাস্তব ধর্মী” বর্তমানে কোন এলাকায় পুলিশের গাড়ী প্রবেশ করতে দেখলে ঐ এলাকার মানুষ আতংকিত হয়ে পড়ে কেন, গুইমারা থানা পুলিশের কাছে উপজাতীয়রা কতটা নিরাপদ? এলাকার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি সহ নানান অভিযোগ ও সমস্যার কথা উঠে আসে ওপেন হাউজ ডে’-তে উপস্থিত এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের বক্তব্যে।

গুইমারা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওপেন হাউজ ডে ও কমিউনিটি পুলিশিং সভায় প্রধান অতিথি রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ ফরহাদ হোসেন। সভায় বক্তারা বর্তমানে গুইমারা উপজেলাধীন ৩টি ইউনিয়নের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি, অপহরণ, শিক্ষকের বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা, গুইমারা বাইল্যাছড়ি এলাকায় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপক আদিপত্য, অবৈধ ভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, নির্বিচারে পাহাড়া কাটা, সাধারণ নিরীহ মানুষকে মাদক দ্রব্য দিয়ে ফাঁসানোসহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কাজে পুলিশে সম্পৃক্ততা ও সহযোগীতা করার অভিযোগ করে।

এছাড়াও আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনের রেখে এলাকার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও উপজেলার সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নের একটি পুলিশ ফাড়ি স্থাপনের দাবী জানানো হয়। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সামনের পুলিশের বিরুদ্ধে এসকল অভিযোগ করার সাহসী মনোভাব দেখানোর জন্য উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিষয়গুলো সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।

Read Previous

গুইমারা থানায় ওপেন হাউস ডে

Read Next

খাগড়াছড়িতে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল, অসুস্থ্য খালেদা জিয়াকে দ্রুত মুক্তি দেয়ার দাবি