পড়া মনে রাখার সহজ উপায়…..

 পড়া মনে রাখার সহজ উপায়…..

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা,

তোমাদের প্রতি শুভেচ্ছা রইল। শিক্ষার্থীদের জন্য আজকের পরামর্শ লেখাপড়ায় মনোযোগী  হওয়ার ও পড়া মনে রাখার উপায়।ছাত্রনং অধ্যয়ন তপোঃ।এ কথা আমাদের সবারই জানা। সাধারণত সকল শিক্ষার্থীই শেখার উদ্দেশ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়। নিয়মিত লেখাপড়াও করে তবে একদিকে ঝড়ের গতিতে লেখাপড়া অপরদিকে সমানভাবে ভুলে যাওয়া। ছাত্র জীবনে এমন ঘটনা নিত্য দিনের ব্যাপার। অধিকাংশ শিক্ষার্থী এ বিষয়টি নিয়ে বাড়তি চিন্তা করে হতাশায় ভোগে। তাদের অভিযোগ যে, তারা অনেক চেষ্টা করেও পড়া মনে রাখতে পারছে না বা পরীক্ষায় লিখতে পারছে না। এমন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে নিক্ত বিষয়গুলি খেয়াল রেখে সে অনুযায়ী লেখাপড়া করো, আশা করি অনেক ভালো ফল লাভ করবে।

১.      পড়া মনে রাখার দৃঢ় ইচ্ছা পোষণ করাঃ

“কর্মের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল”- আল হাদিস। পড়ার টেবিলে বসে যে পড়াটিই হোক না কেন সেটি যদি মনে রাখার দৃঢ় ইচ্ছা পোষণ না করা হয় তাহলে সে পড়া বা অধ্যায়ন মনে থাকার কথা নয়। অর্থাৎ মনে মনে এই ইচ্ছা পোষণ করা যে, এতো সময়, পরিশ্রম ও সাধনা করে আমি যেটি পড়লাম সেটি আমাকে পারতে হবে। এমন ভাবে পড়লাম, জানলাম ও শিখলাম যে, এটি এখন পারি। শিক্ষক জিজ্ঞাসা করলে অথবা পরীক্ষায় আসলে এটি লিখে আসতে পারব। এরকম দৃঢ় ইচ্ছা শক্তি নিয়ে অধ্যায়ন করা। সেজন্যই বলা হয়, ‘ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়’। মহাত্মা গান্ধী বলেছেনে-impossible is a word which found in a foolish dictionary’ অর্থাৎ ‘অসম্ভব কথাটি বোকাদের অভিধানে থাকে’।

২.   সমস্যা চিহ্নিত করাঃ

‘সে যে বোঝে না, তাও বোঝে না’- লালন সাঁইয়ের কথা। কখনো কখনো এমন হয় শিক্ষার্থী কী বোঝে না সেটিই সে বুঝতে পারে না, বলতেও পারে না। আসলে একজন শিক্ষার্থীর সকল বিষয়ের সকল লেসনেই সমস্যা থাকে না। কিছু বিষয়ের কিছু লেসন বুঝতে পারে না। কোন বিষয়ের কোন লেসনটি তুমি বুঝতে পারছো না সেটি চিহ্নিত কর। তারপর ঐ বিষয়ে দক্ষ শিক্ষকের বা পারদর্শী সহপাঠী বন্ধুদের থেকে শিখে নাও। এভাবে সমস্যা চিহ্নিত করতে পারলে সমাধান করা সহজ হয়ে যাবে।

৩.   নোট করে পড়াঃ

কথায় বলে একবার লেখা দশবার পড়ার সমান। যে বিষয়টি পড়ছো সেটি সর্বোত্তম কত সুন্দর করে লিখলে উত্তর যথার্থ হয় সেভাবে নোট করে নাও। এভাবে প্রশ্ন টু প্রশ্ন যদি নোট করে পড়তে পারো তাহলে পড়াটা মনের মত হয়। পরীক্ষায় ওভাবে লিখে আসলে নিজেও আত্মতৃপ্ত থাকা যায় সে সঙ্গে পরীক্ষকও খাতা দেখে খুশি হন। সর্বোপরি রেজাল্টও ভালো হয়। তাছাড়া, প্রতি বিষয়ে পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাব্য প্রশ্নগুলি নোট করে শিক্ষকদের দ্বারা যাচাই করে নিলে প্রশ্নত্তরে  আর কোনো খুঁত বা ত্রটি থাকলো না। এখন সারা বছর ঐ নোট গুলি বার বার অনুশীলন করলে পরীক্ষার সময় আর কোনো চিন্তাই থাকে না।

৪.     রুটিন মাফিক পড়াঃ

যে কাজের শুরু ভালো হয় না তার শেষটাও ভালো না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। শিক্ষার্থীরা অনেক সময় বুঝে উঠতে পারে না কখন কোন সময় কোন বিষয় পড়বে। অর্থাৎ যত্রতত্র ভাবে, ইচ্ছামত একটি বই নিয়ে পড়তে বসলো, কিছুক্ষণ পড়ল, ভালো লাগলো না, উঠে গেল। সাধারণত, এটাই হয়ে থাকে। কিন্তু না, তোমার যদি দৈনিক, পাক্ষিক, ও মাসিক রুটিন থাকে তাহলে বুঝবে কখন কোনদিন তোমাকে কোন বিষয়টি পড়তে হবে। যে অনেকগুলো কাজ এক সাথে শুরু করে, সে কোনোটাই শেষ করতে পারে না। সুতরাং অনেক গুলো বই সবগুলো এক সাথে শুরূ করা সম্ভব নয়। অর্থাৎ বইয়ের প্রাধন্যতার উপর ভিত্তি করে সব বই যেন সপ্তাহে কোনো না কোনো ভাবে পড়া হয় সেদিকে লক্ষ রেখে রুটিন তৈরি করা। তাহলে বিষয়ের গুরুত্বের উপর ভিত্তি করে সপ্তাহে বা পনেরো দিনে অথবা মাসে সব বই পড়া হয়ে যাবে। আজ তুমি যে বই গুলো পড়বে, দিনের শুরুতে অথবা পড়ার শুরু করার আগে এক টুকরা কাগজে ক্রমানুসারে সময় উল্লেখ করে নাও। তাহলে কোন বইয়ের পর কোন বই পড়বে সেটি ভাবতে যেয়ে সময় নষ্ট হবে না। বলা যায়, রুটিন পড়ার ধরণটাই বদলে দিতে পারে।

৫.    পড়ার বিষয়টি নিজের মত করে বুঝে নেওয়াঃ

দীর্ঘক্ষণ পড়ার টেবিলে আছো কিন্তু কি পড়ছো, জিজ্ঞসা করলে ঐ লেসনের নামই বলতে পারছো না। অর্থাৎ যখন পড়ছো তখন বোঝার চেষ্টা করছো না যে, তুমি কী পড়ছো। পড়লেই পারা যায় এমন ধারণা নিয়ে পড়ার টেবিলে আছো ঠিকই কিন্তু খেয়াল বা মনোযোগ অন্যদিকে। একই পড়া একেক জন শিক্ষার্থী একেক রকম বুঝে বা শিখে থাকে। করতেই পারো তবে, লেসনটি ভালোভাবে হৃদয়াঙ্গম করার জন্য বুঝে পড়ার কোনো বিকল্প নেই।

৬.           বার বার অনুশীলন করাঃ

প্রায় সব শিক্ষার্থী তার লেসনটি ক্লাসে শিক্ষক পাঠদানকালে বুঝে থাকে। কিন্তু লেসনটি সে আর পরবর্তীতে অনুশীলন করে না। কিন্তু অনুশীলন করা ছিলো অত্যন্ত জরুরি। ক্লাসে হয়তো একবার বা দুইবার লেসনটি আলোচনা হল, তুমিও হয়তোবা কয়েকবার পড়লে, ওখানেই শেষ! বাড়িতে এসে ঐ অধ্যায়টি আর ছুঁয়েও দেখলে না। এরকম হলে কোনো লেসনই ভালোভাবে মনে রাখা সম্ভব নয়। বার বার অনুশীলনই তোমার স্মরণশক্তি বাড়িয়ে তুলবে। মনে রাখবেঃ Practice makes a man perect. অর্থাৎ গাইতে গাইতে গায়েন।

৭.    লেখার অভ্যাস করাঃ     

শুধু পড়া বুঝলেই সেটি মনে থাকবে তা হলফ করে বলা যায় না। মনে রাখার আরেকটি অন্যতম উপায় হলো, বেশি বেশি লেখা। অনেক মেধাবীদেরও দেখা যায় পড়া বলতে পারায় ও বুঝতে পারায় বেশ দক্ষ কি›তু লিখতে গেলে আর কলম চলে না। অর্থাৎ, এতো সাধনা করে যে পড়া তুমি প্রস্তুত করলে, সেটি বিফলে যাবে যদি তুমি পরীক্ষার খাতায় লিখে আসতে না পারো। দেখা যায়, কোনো প্রশ্নের উত্তর বড় আবার কোনো প্রশ্নের উত্তর ছোট, সেক্ষেত্রে যে প্রশ্নের উত্তর বেশি বড় সেটি ছোট করে এবং যেটির উত্তর ছোট সেটির উত্তর বাড়িয়ে যথার্থ করে প্রস্তুত করে, লিখে পরীক্ষার সময়ের সাথে মিলিয়ে রাখা দরকার। তাহলে, পরীক্ষায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেগুলো সুন্দরভাবে উপাস্থাপন করা যায় এবং ভালো নম্বর প্রাপ্তি অনেকটা নিশ্চিত হওয়া যায়। তাই পরীক্ষায় আসার মতো সম্ভাব্য ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরগুলি বার বার লিখে হাত চালু করে রাখলে আর কোনো সংশয় থাকলো না।

৮.    পড়ার ফাঁকে বিরতি নেওয়াঃ

বিরতিহীন একটানা কাজ সবার কাছে বিরক্তিকর। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নের অনেক খুঁটিনাটি তথ্য উপাত্ত মনে রাখতে হয়। বিশেষ করে গণিত ও বিজ্ঞানের অনেক সুত্র। সেক্ষেত্রে একটানা পড়লে পড়ার প্রতি অনীহাও সৃষ্টি  হতে পারে । দেখা যায়, একটি বা দুইটি বিষয় পড়ার পর আর পড়ার আগ্রহ থাকে না। সে জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পর বা একটি বিষয় পড়া শেষে অল্প সময়ের জন্য বিরতি নিতে পারো। বাইরে দু এক কদম হেঁটেও আসতে পারো, তবে খবরদার মোবাইল বা টিভির রিমোট ছুঁয়েও দেখো না! তাহলে তোমার পাঁচ মিনিটের বিরতি ৪৫ মিনিটেও শেষ হবে কিনা সন্দেহ আছে! বিরতিটা তোমাকে ইতিবাচক ভাবে নিতে হবে।

৯.  মুখস্ত না করে ভালোভাবে পড়ে বলার চেষ্টা করাঃ

আমাদের দেশে না বুঝে পড়া মুখস্ত করার বিশেষ প্রবণতা প্রায় সব শিক্ষার্থীর মাঝে লক্ষ করা যায়। আসলে, মুখস্ত বিদ্যা বেশি দিন মনে থাকে না। তবে মনে রাখার মত পড়া আর মুখস্ত করা এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য কী তা আমরা প্রায়ই ভুলে যায়। ধরো, একটি চধৎধমৎধঢ়য বা ভাবসম্প্রসারণ তুমি কয়েকবার ভালোভাবে পড়লে, এখন চেষ্টা করো লাইন গুলো ধারাবাহিক ভাবে বলতে। যদি কোনোক্রমে একটি লাইন বাদ যায়, এতেই তুমি বিগড়ে যাও। একটি লাইন বাদ পড়তেই পারে, তুমি অনুচ্ছেদটি নিজের মত করে বল বা লেখো। এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার বা দুঃচিন্তার কোনো কারণ নেই। বার বার পড়ে বিষয়টি না দেখে মুখে আওড়ানোর চেষ্টা করো। দেখবে, যুদ্ধে তুমি জয়ী হয়েছো!

১০.   পুরানো পড়া সাপ্তাহিক ও মাসিক রিভ্ইাজ করাঃ

শিক্ষক প্রতিদিন পড়া দিচ্ছেন, নিচ্ছেন, পড়ছো। গাদা, গাদা পড়া পড়ছো। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে যে পড়াটি শেখা হয়েছিলো সেটি আর রিভাইজ দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যে, সেগুলি ভুলে যাওয়ার উপক্রম! যদি নিয়োমিত সাপ্তাহিক, পাক্ষিক বা মাসিক রিভাইজ না দেওয়া হয় তাহলে অনেক সহজ পড়াও ভুলে যায়। সেজন্য নিয়োমিত রিভাইজ করার কোনো বিকল্প নেই।

১১.         অত্যাধিক পড়ার চাপ না নেওয়া ও দুঃচিন্তা না করাঃ

পড়া মনে থাকে না এই দুঃচিন্তায় শিক্ষার্থীর গুরুত্বপূর্ণ অনেক সময় নষ্ট হয়।  পড়ার পরিধি বা সিলেবাস বেশি বলে ঘাবড়ে যেও না। মনে রেখোঃ ঞরসব রং াবৎু ংযড়ৎঃ নঁঃ ড়িৎশং ধৎব াবৎু ষড়হম. সময় কম কিনÍু কাজ অনেক বেশি। আর এই সংক্ষিপ্ত সময়ে যে গড়িমসি না করে কাজে লেগে যায় সেই তার কাজ সুচারুরূপে সম্পন্ন করতে পারে। তোমরা নিশ্চই খরগোশ ও কচ্ছপের গল্প জানো। পড়া বেশি দেখে দুঃচিন্তা না করে পড়া শুরু করো, দেখবে অল্প সময়ে অনেক এগিয়ে গেছো। মনে রাখবে, দুঃচিন্তায় তোমার সমস্যার সমাধান হবে না বরং সময় অপচয় হবে, ফলে তুমি পিছিয়ে পড়বে। এমনো হয় পড়ার চিন্তায় নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই মোটেই চিন্তা না করে সাহস নিয়ে অধ্যায়ন শুরু করো।

১২.  না বুঝে মুখস্থ করার অভ্যাস ত্যাগ করাঃ

অভ্যাস ভয়ানক জিনিস। না বুঝে মুখস্থ করা একটি বাজে অভ্যাস। এটি দূর করতে হলে নিজের সাথে সংগ্রাম করতে হয়।  পূর্বেই বলেছি না বুঝে কোনো লেসন অযথা পড়ে

১৩.  আজকের কাজ আগামী দিনের জন্য ফেলে না রাখাঃ

‘অলস মস্তিস্ক শয়তানের কারখানা’ কোনো কারণ ছাড়াই আজকের কাজ আগামী দিনের জন্য ফেলে রাখা উচিত নয়। প্রায়ই দেখা যায় শিক্ষর্থীরা দিনের কাজ দিনে করে না। আগামী দিনের জন্য ফেলে রাখে। এটি শিক্ষা জীবনের একটি অনেক বড় বদ অভ্যাস। একজন আর্মি অফিসার কে দেখেছিলাম, তিনি তার প্রত্যাহিক কাজের তালিকা এবং জীবন কর্ম তালিকা (ষরভব ষরংঃ) ও পরিকল্পনা লিখে সর্বদা সঙ্গে রাখতেন। প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন শেষ করতেন। অর্থাৎ, আজকের কাজ যদি আগামী দিনের জন্য ফেলে রাখা হয় তাহলে আগামী দিনের কাজ হবে দ্বিগুণ এবং সেটি সম্পন্ন করা কঠিন হয়ে যাবে। তাই পড়া ফেলে না রেখে আজকের কাজ আজই শেষ করো। তাহলে পড়া জমে থাকবে না, অল্প পড়া দ্রæত শেষ হবে, তুমি পড়তেও সুন্দর বোধ করবে।

১৪. অল্প আওয়াজে স্পষ্ট উচ্চারণে পড়াঃ

মনে মনে বোবার মত পড়লে পড়া মনে রাখা কষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া, একটু আওয়াজ করে না পড়লে উচ্চারণ গুলো সঠিক হলো কিনা সেটি বোঝারও কোনো উপায় থাকে না। লক্ষ করলে বুঝবে যে, গানগুলি আমাদের স্মরণ থাকে কিভাবে? শুনে শুনে গানের কলি গুলি আমাদের মস্তিস্কে বদ্ধমূল হয়। আমরা যারা শিল্পী নই তারাতো কোনো গানই বলা যায় লিখে রাখি না, এভাবে অনেক গানই তো আমরা গাইতে পারি। কিভাবে? গান শোনার সময় আমরা আগ্রহ ও আনন্দ নিয়ে শুনি। এজন্য এগুলো সাথে সাথে হৃদয়ঙ্গম হয়ে যায়। ঠিক তেমনি অল্প আওয়াজে পড়লে সেটি কানে যাবে, মস্তিস্ক ওটি ধরে রাখবে, এবং বিষয়টি তুমি বুঝবে এবং পারবে। তবে উচ্চস্বরে বা চিৎকার করে পড়তে যেও না, তাহলে বেশিক্ষণ পড়তে পারবে না। একটু পড়েই হাফিয়ে উঠবে নতুবা মাথা ঝিমঝিম করবে। কেউ কেউ এমন উচ্চারণে পড়ে যে, সে কি উচ্চারণ করছে সেটি নিজেই বলতে পারে না! কেউ আবার খুব দ্রæত দুলে দুলে পড়ে, এটাও উচিত নয়। বরং অল্প আওয়াজে শান্ত ও ধীরে, যথার্থ ও সুন্দর উচ্চারণে পড়ো। দেখবে পড়া অনেক প্রাণবন্ত, সাবলীল ও মধুর লাগছে।- লেখকঃ  মো. কামরুজ্জামান, প্রভাষক (ইংরেজি), গুইমারা কলেজ, গুইমারা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post