ফটিকছড়িতে বিভাগীয় কমিশনার: বীর চট্টলাতে কোন ভিক্ষুক থাকেতে পারেনা
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, বীর প্রসবিনী চট্টগ্রাম। যুগে যুগে বীর চট্টলা। চট্টলার মানুষ ধনে-মানে, সচ্ছলায় এগিয়ে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক ভাবে অবদান রাখছে চট্টগ্রাম। আর সেই চট্টগ্রামের রাস্তায়, হাটে-বাজারে হাত পেতে বসবে ভিক্ষুকরা, সেটি মানায় যায়না। তাই বীর চট্টলাতে ভিক্ষুক থাকতে পারেনা। তিনি বুধবার সকাল ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চত্বরে ১২১জন ভিক্ষুককে পূর্ণবাসন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ভিক্ষা বৃত্তি একটি ঘৃনীত পেশা। এই পেশাকে ঘৃনা জানান। কারণ যেই দেশে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালে মাত্র ১শ ১০ ডলার মাথাপিছু আয় নিয়ে পথচলা বাংলাদেশের আজ মাথাপিছু আয় বেড়ে দাড়িয়েছে ১৬শ ১০ ডলার। জিডিপি দাড়িয়েছে ৭.২৭ এ। বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ, জাইকাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতু। ৪ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষনা করা হচ্ছে প্রতি বছর। ২শ ৬১ কোটি ৮৮ লাখ বই বিতরণ করা হয়েছে বিনামুল্যে। ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্টীর নিজস্ব ভাষায় ৫০ হাজার বই ছাপিয়ে বিতরণ করা হয়েছে। সেই দেশে ভিক্ষাবৃত্তি মানায় না। এই কার্যক্রমে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও বৃত্তশালী যারা হাত বাড়িয়েছেন, তাদেও প্রতি কৃতজ্ঞতা।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী ও ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান এম. তৌহিদুল আলম বাবু। ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় এর সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হকের সঞ্চালিত সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন নাহার মুক্তা, ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মো. ইছমাইল হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য মো. আকতার উদ্দিন মাহমুদ পারভেজ ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ নেত্রী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি।
পরে প্রধান অতিথি ফটিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ১২১জন ভিক্ষুকের মধ্যে হাস-মুরগী পালনের ঘর, ভ্যান চালিত চা দোকান, রিক্সা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বাঁশ-বেত, মৃত শিল্পের উপকরণ, সেলাই মেশিন বিতরণ করেন।