ফটিকছড়িতে হালদার ভাঙনে শতাধিক বাড়িঘর বিলীন, কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতি
স্টাফ রিপোর্টার: ফটিকছড়ির সমিতিরহাট ইউনিয়নে প্রায় ১০ কি.মি. এলাকা জুড়ে হালদা নদীর ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। ইতোমধ্যে হালদার ভাঙনে বেশকিছু বাড়িঘর ও মসজিদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে এসব ভাঙন কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বন্যা। বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই ইউপির কয়েক কোটি টাকার সম্পদ। ইউনিয়ন পরিষদের প্রদত্ত তথ্যে জানা গেছে, ওই ইউপির উত্তর নিশ্চিন্তাপুর, দক্ষিণ নিশ্চিন্তাপুর, ছাদেকনগর, আরবান আলী সওদাগর বাড়ি এলাকায় অন্তত ১০ কি.মি. হালদার ভাঙনের কবলে পড়েছে। তা ছাড়া গত বছরের বন্যায় ভেঙে যাওয়া হালদার পাড় মেরামত না করার ফলে স্থানগুলোতে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। এসব এলাকায় ইতোমধ্যে বেশকিছু ঘরবাড়ি হালদা গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সাম্প্রতিক বন্যার পানিতে ওই ইউপির শতাধিক মাটির ঘর ধসে পড়েছে।
এছাড়া নদীর পানি প্রবেশ করে ওই ইউনিয়নের ৫ কি.মি দৈর্ঘ্যের প্রধান সড়ক সমিতিরহাট-তকিরহাট সড়ক, সাড়ে তিন কি.মি দৈর্ঘ্যের সমিতিরহাট-নানুপুর সড়ক, দক্ষিণ নিশ্চিন্তাপুর সড়ক, সমিতিরহাট-কুলাল পাড়া সড়ক, সেজোঁয়ার খাঁ সড়কসহ মোট ৩০টি সড়কের সব ক’টি ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে ওই ইউপির ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মাধ্যমিক স্কুল, ৮টি মাদ্রাসাসহ সব ক’টি হাট-বাজারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
এ ব্যাপারে সমিতিরহাট ইউপি’র চেয়ারম্যান হারুনর রশিদ ইমন জানান সাংবাদিকদের, হালদার ব্যাপক ভাঙন এবং সাম্প্রতিক বন্যা তিলে তিলে সাজিয়ে তোলা ইউনিয়নকে ভেঙে-চুড়ে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। জরুরিভিত্তিতে হালদা এবং তেলপারই খালের ভাঙন রোধ এবং রাস্তাঘাটের সংস্কার করা না হলে ওই ইউপি এলাকায় মানুষের বসবাস কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি ইতোমধ্যে বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি নদী ভাঙনরোধ ও সংস্কারের ব্যাপারে বরাদ্দের জন্য সরকারের উপর মহলে চেষ্টা-তদবির শুরু করেছেন বলে জানান।