মহালছড়িতে সকল সম্প্রদায়ের প্রতিনিধির সাথে সম্প্রীতি সভা জেলা প্রশাসকের

শেয়ার করুন

মোঃ কাউছারুল ইসলাম, মহালছড়ি: আসন্ন দুর্গাপূজা, প্রবারণা উৎসব, কঠিন চীবরদান ও বড়দিনের অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা মহালছড়ি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ইমাম, পুরোহিত, ভান্তে, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, পাড়া প্রধান, মৌজা প্রধান, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের উপস্থতিতে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে মহালছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ইউএনও মোহাম্মদ আবু রায়হান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্প্রীতি’ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার।

বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ধর্মীয় উৎসব পালনের মাধ্যমে ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও দৃঢ় হয়। সমাজে শান্তি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখতে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতার বিকল্প নেই। আসন্ন দুর্গাপূজা, প্রবারণা উৎসব, কঠিন চীবরদান ও আাগামী বড়দিনের উৎসবকে ঘিরে কেউ যাতে পাহাড়ের শান্তি ও সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে সেদিকে সবাই সচেতন থাকতে হবে’। পাশাপাশি উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহসহ মহালছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, মহালছড়ি উপজেলা মডেল মসজিদ, উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ সহ বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, মহালছড়ি সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শামসুল রহমান, মহালছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিপুল বিকাশ খিসা, ও মহালছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো রফিকুল ইসলাম।

এছাড়াও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো আনোয়ার হোসেন, মহালছড়ি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহিরুল হক, মহালছড়ি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতা মোঃ মামুন , মহালছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি দিপক সেন, মুবাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পী খিসা এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মহালছড়ি উপজেলার আইনশৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

সভায় মাদক ও জুয়া নিয়ন্ত্রণ, চুরি-ছিনতাই ও সামাজিক অবক্ষয় রোধ, প্রতিরোধের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি দুর্গাপূজা কঠিন চিবর ধান উদযাপনকে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।