মহালছড়িতে হুইল চেয়ার বন্দি এক শিক্ষার্থীর পাশে জেলা প্রশাসক
মহালছড়ি প্রতিনিধি: মহালছড়ি উপজেলার সিঙ্গিনালা গ্রামের দুরারোগ্য ব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হুইল চেয়ার বন্দি মেধাবী ছাত্র নিংপ্রুচাই মারমার শারিরীক অবস্থার খোঁজ খবর নিতে সরেজমিনে সিঙ্গিনালা গ্রামে এসেছেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। নিংপ্রুচাই মারমা হুইল চেয়ারে বন্দি থাকলেও অদম্য মনোবল ও মেধা তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।
এ অবস্থায় দুরারোগ্য ব্যাধী ক্যান্সারের সাথে লড়াই করা সত্বেও স্থানীয় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়ে তোলেন স্বপ্নের পাঠশালা নামক একটি পাঠাগার। এ পাঠাগারে শুধু বই পড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অনলাইন গেম, নেশা জাতীয় দ্রব্য থেকে বিরত রাখতে এখানে খেলাধূলা, গান বাজনা ও শিক্ষামূলক গল্প পড়ানো হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় এ সংবাদ প্রকাশিত হলে ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় প্রবল বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস ছুটে আসেন মহালছড়ি উপজেলার সিঙ্গিনালা গ্রামে। তখন সফর সঙ্গী হিসেবে ছিলেন, মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দত্ত, মহালছড়ি সহকারি কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা আফরোজ ভুঁইয়া, মহালছড়ি উপজেল মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুইনুচিং চৌধুরী, মহালছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর। এছাড়া সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুইথি কার্বারীসহ জেলা ও স্থানীয় সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এই সময় জেলা প্রশাসক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে স্বপ্নের পাঠশালা প্রতিষ্ঠাতা নিংপ্রুচাই মারমার হাতে বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ ও খেলাধূলা সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। এছাড়াও স্বপ্নের পাঠশালার অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।
জেলা প্রশাসক এর হাত থেকে ১ লক্ষ টাকার চেক গ্রহন কালে নিংপ্রুচাই মারমা খুশিতে আবেগ আপ্লুত হয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তাঁর অতীত ও বর্তমান সময়ে অসহ্য যন্ত্রণায় ছটপট করে হুইল চেয়ারে বন্দি থাকার করুণ পরিণতির কথা তুলে ধরেন। সবশেষে তিনি রোগমুক্তির জন্য সকলের কাছে দোয়া ও আশির্বাদ কামনা করেছেন।