মাটিরাঙা পৌর নির্বাচন: শিক্ষায় জাহাঙ্গীর সম্পদে এগিয়ে শামছুল
স্টাফ রিপোর্টার: মাটিরাঙা পৌর নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। এবারের আসরে প্রতিদ্বন্দ্বী তিন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে তিন জনই অবস্থানগতভাবে বেশ শক্তিশালী। এই তিন প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মো. শামছুল হক, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শাহজালাল কাজল ও স্বতন্ত্র পরিচয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এমএম জাহাঙ্গীর আলম।
মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্রার্থীর হলফনামা বিশ্লেষন করে দেখা গেছে স্বতন্ত্র পরিচয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এমএম জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষাগত যোগ্যতায় সর্বোচ্চ। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতোকত্তর। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মো. শামছুল হক এবং বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শাহজালাল কাজলের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি।
স্বতন্ত্র প্রাথী এমএম জাহাঙ্গীর আলমের পেশা ব্যবসা, সাংবাদিকতা, মানবাধিকার ও রাজনৈতিক কর্মী উল্লেখ করার পাশাপাশি বাৎসরিক আয় ৬ লাখ টাকা দেখিয়েছেন। দায়দেনার বিবরণীতে দেখা যায় গৃহ ঋণ বাবদ মাটিরাঙা সোনালী ব্যাংকে তার ঋণ আছে প্রায় ৪৬ লাখ, কৃষি ব্যাংকে দেড় লাখ এবং ব্যবসায়িক দেনা আছে ৫ লাখ টাকা।
তবে অর্থ সম্পদ ও আয়ের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. শামছুল হক। শামছুল হকের পেশা ব্যবসা উল্লেখ করে বাৎসরিক আয় দেখানো হয়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকা, তার কোনও ধারদেনা নেই। তিনি অস্থাবর সম্পত্তি দেখিয়েছেন নগদ টাকা ৭৯ হাজার ৫০০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী এবং আসবাবপত্র ৯০ হাজার টাকা। এছাড়াও শামছুল হকের স্থাবর সম্পদ হিসেবে অকৃষি জমি, বাড়ি/মার্কেট সহ প্রায় ৯৭ লাখ টাকা দেখিয়েছেন।
হলফনামায় বিএনপির প্রার্থী শাহজালাল কাজল ব্যবসা খাতে তার বাৎসরিক আয় উল্লেখ করেছেন দুই লাখ ৫৩ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের হিসাবে দেখা গেছে নিজের নামে নগদ ৩৮ হাজার টাকা, ব্যাংকে ১০ হাজার, বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে ৫০ হাজার টাকা, এছাড়া একটি মোটরসাইকেল এক লাখ টাকা, ব্যবহার্য ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী এবং আসবাবপত্রসহ অন্যান্য খাতে ৫৫ হাজার টাকার সম্পদ দেখিয়েছেন তিনি।