যুব সমাজকে অবক্ষয়ের পথ থেকে বাঁচাতে সুস্থ ও নৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে হবে

শেয়ার করুন

ডেস্ক রিপোর্ট: হুজুর গাউছুল ওয়ারা শায়খুল ইসলাম শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানীর (ক.) ৮২তম খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ক্যালিগ্রাফি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঢাকা জাতীয় জাদুঘরে ১০ম জাতীয় ক্যালিগ্রাফি প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণী, ক্যালিগ্রাফি বিষয়ক কর্মশালা ও সেমিনার আজ ২ ফেব্র“য়ারি শনিবার দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় জাদুঘরের নলীনি কান্ত ভট্টশালী হলে ১০ দিন ব্যাপী ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী গত ২৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে।

এ প্রদর্শনী চলবে ৪ ফেব্র“য়ারি ২০১৯ পর্যন্ত। বেগম সুফিয়া কামাল হলে প্রতিযোগিতা, কর্মশালা ও সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ক্যালিগ্রাফি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, অপসংস্কৃতির ফলে যুব সমাজ আজ দিশেহারা ও অবক্ষয়গ্রস্ত। অবক্ষয় ও অনৈতিক পথ থেকে যুব সমাজকে ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনতে সুস্থ নৈতিকতাধর্মী শিল্প, সংস্কৃতি তাদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। শুধু সরকার একার পক্ষে যুব সমাজকে শুদ্ধাচারের পথে ধরে রাখা যাবে না। সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জঙ্গিবাদ, মাদক ও অসুস্থ সংস্কৃতির আগ্রাসন ঠেকাতে ভূমিকা রাখতে হবে। সম্মিলিতি প্রচেষ্টায় নৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী বলেন, সত্য, সুন্দরের পথে আজীবন নিজেকে উৎসর্গীত রেখেছিলেন সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (ক.)। ইসলামের নান্দনিকতা ক্যালিগ্রাফি প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী তাঁর মহত্তর সৃজনশীল উদ্যোগের অংশ যা এখন আমরা এগিয়ে নিচ্ছি। ক্যালিগ্রাফি আল্লাহর কালামের সৌন্দর্যের প্রকাশ। বর্তমান অপসংস্কৃতির যুগে এসব শিল্প কর্ম শিল্পীদের তুলির মাধ্যমে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে পারলে তা অপসংস্কৃতিকে প্রতিহত করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রতিযোগিতা, প্রদর্শনী, সেমিনার ও কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ও সহযোগিতাকারী সকলের প্রতি তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। ক্যালিগ্রাফি কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদানে ছিলেন চীনের কোয়াং জিয়াং মি (হাজী নুরুদ্দিন) সহ বিশ্বখ্যাত ক্যালিগ্রাফাররা।

সেমিনারে অতিথি ও আলোচক ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, প্রফেসর এমিরাটস ড. আমিনুল ইসলাম, ইসলামি ফাউন্ডেশনের মহা পরিচালক শামিম মোহাম্মদ আফজাল, অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি বিভাগের অধ্যাপক ড. কেএম সাইফুল ইসলাম খান, চীন থেকে আগত মিসেস ফাতিমা ইয়াং চো, আলহাজ্ব মো: ইকবাল রিছালপুরী প্রমুখ। ক্যালিগ্রাফিসহ বিভিন্ন শিল্প কর্মে বিশেষ অবদান রাখায় শিল্পী মুর্তাজা বশীর, শিল্পী ড. আব্দুস ছাত্তার, শিল্পী ড. সবীহ্ উল আলম, শিল্পী সাইফুল ইসলাম, শিল্পী আরিফুর রহমান, শিল্পী ফেরদৌস আরা বেগমকে সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ক্যালিগ্রাফি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান ও বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়।-বার্তা প্রেরক: (শাহ্ মুহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া) কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া।