রাঙ্গুনিয়া-কাপ্তাইয়ে বিনোদন ষ্পটগুলো জমে উঠেছে

রাঙ্গুনিয়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে খরশ্রোতা কর্ণফুলী নদী। নদীর দুই ধারে গড়ে উঠেছে অসংখ্য পিকনিক ষ্পট ও বিনোদন কেন্দ্র। সবুজ পাহাড় ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পর্যটকদের আগমনে রাঙ্গুনিয়া ও কাপ্তাইয়ে বিনোদন কেন্দ্রগুলো পুরোদমে জমে উঠেছে।

দেশের প্রথম পক্ষীশালা রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা-হোছনাবাদ ইউনিয়নের শেখ রাসেল এভিয়ারী এন্ড ইকো পার্ক ৫২০ একর বনভূমি নিয়ে গড়ে উঠেছে। পার্কে দেশী-বিদেশী পাখি সংরক্ষণ করা হয়েছে। বিভিন্ন পাকপাকালির কিচিমিচির শব্দে পুরো এলাকা মুখরিত হচ্ছে। দীর্ঘ এককিলোমিটার ১২টি ক্যাবল কারে চড়ে উচু-নিচু পাহাড় ও প্রাকৃতিক দৃশ্য উপর থেকে উপভোগ করতে পারছে পর্যটকরা। পার্কের অভ্যন্তরে কৃত্রিম হ্রদ। হ্রদের মধ্যখানে শোভাবর্ধণ পাচ্ছে কৃত্রিম দ্বীপ। হ্রদে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুঁটে চলছে। শেখ রাসেল এভিয়ারী এন্ড ইকোপার্কে পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটন শহরখ্যাত রূপসী কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নদী ও কাপ্তাই হ্রদ কে ঘিরে গড়ে উঠেছে একাধিক পিকনিক ষ্পট ও বিনোদন কেন্দ্র।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভুমি বিজিবি’র পরিচালিত জুম রেস্তোঁরা, প্রশান্তি, পাহাড়িকা, বনশ্রী কমপ্লেক্স, লেকভিউ পার্ক, শহীদ মোয়াজ্জেম নৌঘাটি, জীবতলী পর্যটন স্পট, বিএফআইডিসি পিকনিক স্পট, কর্ণফুলী পেপার মিল, কেপিএম জামে মসজিদ ও চিৎমরম বৌদ্ধ মন্দির। নদী ও পাহাড়ের কোল ঘেঁষে গড়ে তোলা পর্যটনগুলোতে টুরিষ্ট্যদের আগমনে মুখর হয়ে উঠেছে। জুম রেস্তোঁরায় বেড়াতে আসা কলেজছাত্রী শিরিন আক্তার বলেন, সবুজ বনের উপর উড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে উম্মুক্ত পাখি।

এ গাছ থেকে অন্য গাছে লাফাচ্ছে বানর। পাহাড়, নদী, ঝরনা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একসাথে উপভোগ করা যায়। নয়নাভিরাম সৌন্দর্যমন্ডিত প্রকৃতি অকৃত্রিমভাবে দুহাত মেলে দিয়েছে। সত্যি খুবই আনন্দ লাগছে। প্রেমিক জুটি সেলিম ও লুবনা বলেন, নৈসর্গিক সৌন্দর্য ভরা প্রকৃতির কোলে নিজেকে কিছু সময়ের জন্য সপে দিয়েছি। জুম রোস্তোরাঁ পাহাড় ও নদীর সমন্বয়ে গড়া এক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আঁধার। এর অপর পাড়েই রয়েছে সবুজের বিপুল সমাহার-বিশাল এক চা-বাগান। চা বাগানটি সারিবদ্ধভাবে সজ্জিত হয়ে ক্রমান্বয়ে উঠে গেছে দুরতিক্রম্য পর্বত সীতা পাহাড়ের গায়ে। সীতা পাহাড়টি অসংখ্য ছোট বড় পাহাড়ের সমাহার।

স্কুল পিকনিকে আসা শিক্ষক মো. সাজ্জাত হোসেন বলেন, সবুজ পাহাড়, প্রকৃতি ও বিভিন্ন জীবজন্তু বনের মধ্যে ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য কার না ভাল না লাগে। বিনোদন কেন্দ্রগুলো পাহাড়ের কোল ঘেঁষে গড়ে তোলায় পর্যটকরা অনায়াসে উপভোগ করতে পারছে। জুম রোস্তোরাঁর অবস্থানস্থল থেকে পাহাড়ী কর্ণফুলী নদী সামান্য বেঁকে চলে গেছে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র অভিমুখে। নৌকাযোগে কাপ্তাই যেতে যেতে প্রকৃতির অপরুপ যে দৃশ্য নজরে পড়বে তা ভাষায় বর্ননা করা কঠিন। নদীর দক্ষিনপাশ ঘেঁষে সবুজ বেষ্টনী সম্পন্ন সীতার পাহাড় অপার হে দিগন্তরেখা পর্যন্ত ছড়িয়ে রেখেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যপ্রিয় ভ্রমনপিপাসুরা দলে দলে ছুঁটে আসেন এখানে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটকরদের আগমনে রাঙ্গুনিয়া ও কাপ্তাই বিনোদন কেন্দ্রগুলো জমে উঠেছে।

Read Previous

চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান ঝুঁকিপূর্ণ সড়কে লাল পতাকা

Read Next

মানিকছড়িতে স্বাস্থ্য বিষয়ক সেনেটারী ন্যাপকিন বিতরণ