রামগড়ে আজ বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু ১ উদ্বোধন

 রামগড়ে আজ বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু ১ উদ্বোধন

রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরা রামগড় (খাগড়াছড়ি): খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা রামগড় উপজেলার প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত মহামনি এলাকায় ফেনী নদীতে বাংলাদেশ- ভারত মৈত্রী সেতু-১ আজ শুভ উদ্বোধন হতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট্য সূত্র এখবর নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি’র সরকার প্রধান বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু ১ শুভ উদ্বোধন করবেন। আজ মঙ্গলবার(৯র্মাচ)দুপুর ১২টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটি শুভ উদ্বোধন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু, মাহমুদ উল্ল্যাহ মারুফ এ প্রতিনিধিকে বলেন, স্থলবন্দরটি চালু হলে ব্যবসা-বানিজ্য, উচ্চ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে দুই বাংলার মানুষ উপকৃত হবে।

রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারী ও পৌর মেয়র মোহাম্মদ শাহজাহান এ প্রতিনিধিকে বলেন- বাংলাদেশ- ভারত মৈত্রী সেতু-১ আজ শুভ উদ্বোধন হচ্ছে জেনে পার্বত্যবাসী আশার আলো ইতিমধ্যে দেখা শুরু করে দিয়েছে। মৈত্রী সেতু পুরোদমে চালু হলে এ অঞ্চলের মানুষ অর্থনীতিতে অবদান রাখাসহ আর্থিক উন্নতির দ্বার খুলে যাবে বলে মনে করেন।

এদিকে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী এ প্রতিনিধিকে বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ অতুলনীয়ভাবে এগিয়েছে। ফেনী নদীর উপর মৈত্রী সেতুটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ, ব্যবসা-বানিজ্য,সাংস্কৃতিক,উচ্চ শিক্ষা,পর্যটনসহ সু-সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি করবে।

জানা গেছে, ২৭অক্টোবর ২০১৭ সালে দেশটির ন্যাশনাল হাইওয়েস এন্ড ইনফ্রাষ্টাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) তানিশচন্দ্র আগারভাগ ইনপাকন প্রাইভেট লিমিটেড এর তত্ববধানে ৮২.৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৮৬ একর জমির উপর ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৪.৮০ মিটার প্রস্তের মূল সেতুটির দৈঘ্য ১৫০ মিটার মুলে কাজ শুরু করে যা ৫ জানুয়ারী ২০২১ সালে সেতুটির কাজ শেষ হয়। সেতুটিতে মোট পিলার রয়েছে ১২টি এরমধ্যে বাংলাদেশ অংশে নির্মাণ করা হয়েছে ৮টি ও ভারতের অংশে ৪টি। স্প্যান রয়েছে ১১টি। তন্মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৩৩.৫ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি, ২৭.৫ মিটারের ৪টি ও ৫০ মিটারের একটি। নদীর ওপর ৮০ মিটারের একটি, ভারতের অংশে ৫০ মিটারের একটি ও ২৭.৫ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি স্প্যান রয়েছে।
আর্ন্তজাতিক মানের সেতুটি যুক্ত হয়ে রামগড় বারৈইয়ার হাট-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে অপরদিকে ভারত অংশে নবীনপাড়া ঠাকুরপল্লী হয়ে সাব্রুম আগরতলা জাতীয় সড়কসহ রেলপদ যুক্ত হবে।

উল্লেখ্য- ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি সফরকালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সাথে বৈঠকে রামগড়-সাব্রুম স্থলবন্দর চালুর যৌথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৫ সালের ৬ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফেনী নদীর ওপর নির্মাণাধীন বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নামে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করেন।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post