লক্ষ্মীছড়িতে ত্রাণ বিতরণে ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় করোনা দুর্যোগে সরকারি ত্রাণ বিতরণে চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১৭ এপ্রিল শুক্রবার ১নং লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নে ৫নং ময়ূরখীল ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর সাংবাদিকরা সরেজমিনে গেলে এ অভিযাগের সত্যতার প্রমাণ মিলে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ১০কেজি হারে চাল দেয়ার কথা থাকলেও দিয়েছে ৮ কেজি হারে কিংবা সাড়ে ৮ কেজি। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে ৭ কেজির একটু বেশি হয়েছে হয়েছে ওজনে। এসময় ছামেনা বেগম স্বামী আ: মান্নান এর চালের ব্যাগ ডিজিটাল পাল্লায় ওজন দিলে ৭ কেজি ৭৪গ্রাম দেখা যায়। এভাবে আরো বেশ কয়েকজনের ত্রাণের ব্যাগ ওজন করলে ৮ কেজির বেশি দেখা যায়নি। এছাড়াও আলু দেয়া হয়েছে ৫০০গ্রাম, বুটের ডাল ২৫০গ্রাম ও ৫০০গ্রাম লবন। একদিকে চাল ওজনে কম অপরদিকে অল্প পরিমাণ আলু ও ডাল পেয়ে সন্তুষ্ট নয় সুবিধাভোগীরা।
ওজনে কম দেয়ার অভিযোগে গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ ত্রাণ ফেরত দিতে এসেছে। এসময় এলাকার নবির হোসেন, ছগির হোসেনসহ অনেকেই অভিযোগ করেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওয়ার্ড মেম্বার রেজাউল করিম বলেন, ৩০ কেজি চালের ৫০বস্তা হিসেবে এক টন ৫০০ কেজি চাল চেয়ারম্যান থেকে বুঝে নিয়েছি। ১৫০জনের তালিকা করে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছি। কিন্তু বিতরণ শেষে অতিরিক্ত চাল থাকার কথা না, বিষয়টি আমার নজরে আসার সাথে সাথে প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আরো দেড় কেজি হারে পেকেট করে পৌছে দিয়েছি। আর কারো কোনো অভিযোগ নেই বলেও জানান তিনি। মাপের ায়িত্বে (এখলাছ উদ্দিন) সেই ভুল করে আমাকে বিপে ফেলেছে।
১নং লক্ষ্মীছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান প্রবিল কুমার চাকমা বলেন, ওজনে তো কম দেয়া কথা নয়, যে পরিমাণ চাল বিতরণ হওয়ার কথা হিসেব মতে আমি সবটুকই বুঝিয়ে দিয়েছি। আলু ও ডাল পরিমাণে কম দেয়ার কারণ জানতে চাইলে বরাদ্দ অনুপাতে সুবিধাভোগীর সংখ্যা বেশি, তাই পরিমাণে কম দিয়ে বুঝানো হয়েছে। চাল খাটতির আশংকায় হয়ত ওজনে কিছু কম দিতে পারে এমন মন্তব্য করলে, অতিরিক্ত আরো ৬বস্তা চাল রয়ে গেলো কিভাবে এর কোনো জবাব দিতে পারেন নি চেয়ারম্যান প্রবিল কুমার চাকমা।
উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ও তদারকি অফিসার আব্দুর রাশেদ বলেন, চাল বিতরণের বিষয়ে আমাকে আগে থেকে জানানো হয় নি। ওজনে কম দেয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন বলে জানান।
লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ ইকবাল জানান, ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধূরী বলেন, আমি উদ্বোধন করে দিয়ে অন্য এলাকায় চলে গেলে ফেরার পথে এ অভিযোগের বিষয়টি এলাকাবাসী জানায়। ওজনে কম দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। যেটুকু কম দিয়েছে পূরণ করে দিবে বলে মেম্বার কথা দিয়েছে।
এদিকে এ রিপোর্ট লেখার পূর্বে ময়ূরখীল ওয়ার্ড মেম্বার রেজাউল করিম এ প্রতিবেদকে জানান, প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কম দেয়া চাল গুলো ফেরত দিয়েছি। এলাকাবাসীর আর কোনো অভিযোগ নেই বলেও জানান তিনি।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post