লক্ষ্মীছড়িতে বাদ পড়া ৮সদস্য’র নাছিমার পরিবারে ত্রাণ দিলো ইউপি সেক্রেটারী

স্টাফ রিপোর্টার: বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা কাজ করে যাচ্ছে। প্রয়োজনের তুলোনায় কম হলেও ইতিমধ্যে সাধ্যমত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। দুর্গম প্রত্যন্ত এলাকাও ত্রাণ সামগ্রী গেছে এমনটা জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু বাত্বির নিচে অন্ধকার। নাছিমা আক্তার, স্বামী অদুদ গাজি। স্বামী কয়েক বছর ধরে নিরুদ্দেশ। মোকলেছ, বেলাল ও ফারুক ৩ছেলেই দিন মজুরী করে। ছেলেরা সবাই বিবাহিত। বড় ছেলের ঘরে ৭মাসের শিশু সন্তান রয়েছে। ৩/৪ দফা ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চললেও লক্ষ্মীছড়ি গুচ্ছ গ্রামে বসবাস এই পরিবারটির প্রতি কারো নজরই আসে নি। ত্রাণ পান নি এক বারো।

ঘটনা অনুসন্ধানের আগে কথা হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ ইকবালের সাথে। তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি তো বাদ পরার কথা না, তবুও সত্যতা যাচাই করা যেতে পারে। এলাকার জনৈক ব্যক্তি ত্রাণ পান নি এমন তথ্য আসার পর এ প্রতিনিধি সরেজমিনে যান নাছিমা বেগমের বাসায়। নাছিমা বেগম জানান, একবার গিয়েছিলাম ত্রাণের জন্য তালিকায় নাম নেই বলে চলে আসি। এর পর আর যাই নি। প্রতিবেশীরাও জানান, আসলে গরীব হিসেবে সবার আগেই ত্রাণ পাওয়ার কথা ছিল।

বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ ইকবাল ত্রাণের তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্ত করেন। তবে তাৎক্ষনিক ঘটনাটি শুনেই সহায়তার হাত বাড়ান ১নং লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কমল কৃষ্ণ চাকমা। তিনি চেয়ারম্যানের পক্ষে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১কেজি তেল, ১ কেজি লবন, ১কেজি ডাল, ২ কেজি ছোলা বুট ও ২ কেজি চিনি ক্রয় করে নাছিমা বেগমের ছেলে ফারুক হোসেন’র হাতে পৌছে দেন।

এ প্রসঙ্গে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ ইকবাল বলেন, শুধু নাছিমা বেগম নয়, এই করোনা পরিস্থিতিতে নিন্ম আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পরে। ত্রাণ পায় নি এমন কোনো ব্যক্তি বাদ পড়ে থাকলে আমরা অবশ্যই ত্রাণ পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা করবো।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post