লক্ষ্মীছড়িতে বৈসাবি’র র্যালি
লক্ষ্মীছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় নানা রঙের বাহারী পোষাক ও সাজে, বিভিন্ন বয়সী মানুষের উৎসবমুখর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে চলছে বৈসাবি উদযাপন।। প্রতিবছরের ন্যায় এবারো চাকমারা ‘বিঝু’, মারমারা ‘সাংগ্রাইং’, ত্রিপুরারা ‘বৈসুক’ হিসেবে পালন করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রধান তিন সম্প্রদায়ের উৎসবের তিন আদ্যক্ষরকে নিয়ে বৈসাবি হিসেবে প্রতিবছর এই উৎসব পালন হয়। বাংলা পুরাতন বছরের বিদায় ও নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে ৩দিন ব্যাপি পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীরা আলাদা আলাদা নামে এ উৎসব পালন করে থাকে।
চৈত্রসংক্রান্তির মারমাদের ঐতিহ্যবাহি প্রধান উৎসব “সাংগ্রাইং” ১৩ এপ্রিল শুক্রবার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার শিলাছড়ি এলাকা থেকে বিশাল এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে মারমা সম্প্রদায়ের লোকজন। বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহি জিনিস হাতে নিয়ে শ্লোগানে, নেচে গেয়ে র্যালিটি বাজার, উপজেলা সদর ও বেলতলী পাড়ায় গিয়ে শেষ করে। র্যালিতে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য রে¤্রাচাই চৌধুরী, লক্স¥ীচড়ি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অংগ্য প্রু মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বেবি রানী বসুসহ মারমা সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দরা অংশ নেন। এর আগে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে চাকমা সম্প্রদায়ের লোকজন বিজু উৎসবকে স্বাগত জানিয়ে র্যালি বের করা হয়। লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ ইকবাল র্যালিতে অংশ নেন। এদিকে বাংলা নববর্ষকে সামনে রেখে ১৪ এপ্রিল ১ বৈশাখ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করার কথা রয়েছে।
১৯৮৫ সাল থেকে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত তিন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বিত উদ্যোগে ‘বৈসাবি’ নামে এ উৎসব পালন করে আসছে। সময়ের ব্যবধানে ‘বৈসাবি’ শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। গতবছর থেকে বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের দাবীর প্রেক্ষিতে উৎসবটিতে নববর্ষের “ন” যুক্ত হয়ে বৈসাবীন হিসেবে পালন করে কেউ কেউ।