লক্ষ্মীছড়িতে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে কঠোর হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত

স্টাফ রিপোর্টার: কোভিড-১৯ করোনা প্রতিরোধে শীতকালীন সময়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে বাঁচার উপায় বের করতে সাধারারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক এবং সাধারণ মানুষের জীবন মান রক্ষায় ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে দিন দিন কঠোর হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ১৭ নভেম্বর জেলা ব্যাপি মাস্ক বিহীন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর অভিযানে নামে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: জাকির হোসেন’র নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের প্রথম দিন ১৭নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সদর ও বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে ১১জনকে প্রাথমিক সতর্কতা হিসেবে জরিমানা করা হয়। আদায় করা হয় ৩হাজার ৮০০টাকা। শনিবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১০হাজার ২০০টাকা জরিমানা আদয় করা হয়।

২২ নভেম্বর রবিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ইয়াছিন ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: জাকির হোসেন পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন মাস্ক বিহীন ব্যক্তি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল নিয়মবর্হিভূত চালানোর দায়ে জরিমানা আদায় করা হয়। ২৬টি মামলায় ৫হাজার ৩০০টাকা জরিমানা করা হয়।

এদিকে উপজেলা সদরে বেলতলী পাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী টীমের উপর ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালকরা ক্ষুব্দ হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা এগিয়ে গেলে তারা সরে যায়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ইয়াছিন বলেন, জরিমানা করা আমাদের উদ্দ্যেশ্য নয়, সচেতনতাকে আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি। মাস্ক না পরলে প্রাথমিক সতর্কতা হিসেবে ছোট আকারে জরিমানা করা হচ্ছে, না মানলে জরিমানার পরিমাণ বাড়বে। তিনি বলেন, মোটরসাইকেলের গতিনিয়ন্ত্রণ, গাড়ির লাইসেন্স, ড্রাইভিং লাসেন্স, হেলমেট ব্যবহার ও অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। এ ক্ষেত্রেও প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হচ্ছে। আইন না মানলে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে, সেটাই প্রয়োগ করা হবে। তিনি বলেন, যেনো-তেনোভাবে গাড়ি চালানো যাবে না। অসতর্ক হয়ে গাড়ি চালিয়ে মানুষ মারবে, আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করবে তা মানা যাবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য বড় যানবাহন চলাচল না করায় লক্ষ্মীছড়ি-মানিকছড়ি সড়ক, লক্ষ্মীছড়ি-ফটিকছড়ি সড়ক, লক্ষ্মীছড়ি-বর্মাছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি দুল্যাতলী সড়কে অন্তত ২০০ থেকে আড়াইশ ভাড়ায় চলাচল করছে। একদিকে যাত্রীসাধারণের চলাচলের সুবিধার পাশপাশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত যাত্রী বহন, কলার ছড়া, কাঁচা-তরিতরকারি বহন, দ্রুতগতিতে চালানো ও নানা অসতর্কতাসহ নিয়ম-নীতি না মেনে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বহু মানুষ পঙ্গুত্ব বরণের পাশাপাশি অনেকের জীবন কেড়ে নিয়েছে এই মোটরসাইকেল। সচেতন মহলের মতে এই পাহাড়ে প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকায় বিকল্প যানবাহন হিসেবে মানুষের চলাচলের সুবিধায় মোটরসাইকেলের যেমন প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তেমনীভাবে ইচ্ছেমতো চালিয়ে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া চলাচল করবে সেটাও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার দেখার অধিকার রয়েছে।

Read Previous

প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের গৃহর্নিমাণ কাজের উদ্বোধন রামগড়ে

Read Next

পার্বত্য প্রেসক্লাব ও সবুজ পাতার দেশ পত্রিকার উদ্যোগে করোনা সচেতনতামূলক প্রচারণা ও মাস্ক বিতরণ