লামায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি: বান্দরবানের লামায় মিথ্যা মামলা দিয়ে সাত নিরহ গ্রামবাসীকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে প্রকাশ, রুপসীপাড়া ইউনিয়নের পূর্বশীলেরতুয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার বাসিন্দা মৃত আমির হোসেনের ছেলে আবদুল মালেক (৩৮)সহ ২-৩ জন সংঘবদ্ধ হয়ে গত ১০ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নয়াপাড়াস্থ বেলালের বসতঘরে ঢুকে নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও এক জোড়া স্বর্ণের দুল নিয়ে যায়। এ সময় ঘরের লোকজন টের পেয়ে চিৎকার করলে আশপাশের লোকাজন এগিয়ে গিয়ে আবদুল মালেককে হাতে-নাতে আটক করেন। পরে উপস্থিত উত্তেজীত জনতা আবদুল মালেককে উত্তম মাধ্যম দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় মৃত আজু মিয়ার ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (৩৮), নুরুল কবিরের ছেলে মো. নুর নবী (৩৫) ও আহামদ নবী (৩৩), ছিদ্দিক কারবারীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৪৫), ফজু মিয়ার ছেলে নুরুল হুদা (৫৫), আক্কাছ মিয়ার ছেলে মো.নজরুল ইসলাম স্থানীয়দের কবল থেকে আবদুল মালেককে উদ্ধার করে উপাজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে আবদুল মালেকের ভাই আবদুল খালেক (২৫) বাদী হয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে উল্টো উদ্ধারকারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ সাজিয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-০৭, তারিখ- ১৩/০৭/১৮ইং)।

বুধবার সরজমিন পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় মতিউর রহমান (৫৫), ছমির উদ্দিন (২৬)সহ ১০-১৫ জন গ্রামবাসী জানান, আবদুল মালেক শুধু বেলালের ঘর নয়, গত এক বছরে স্থানীয় মুসলিম ডাক্তারের ঘরে ঢুকে নগদ টাকা, ওবায়দুলের ঘরে ঢুকে মোবাইল সেট, কুদ্দুছের ঘরে ঢুকে নগদ টাকা, হুমায়রা বেগমের বসত ঘরে ঢুকে নগদ টাকা চুরি ছাড়াও বেশ কয়েকটি বসতঘরে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। এসব চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন সময় স্থানীয় চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ, থানায় সাধারণ ডায়েরীসহ মামলাও করেন। জামিনে গিয়ে পূণরায় এলাকায় চুরির কাজে নেমে পড়েন আবদুল মালেক।

স্থানীয়রা আরও জানান, গত এক বছরে আবদুল মালেক কমপক্ষে এলাকায় ১২-১৩টি চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। তার চুরির কারণে এলাকার লোকজন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন না লোকজন। সর্বশেষ গত ১০ জুলাই গভীর রাতে নয়াপাড়ার বাসিন্দা বেলালের বসতঘরে ঢুকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়ে আবদুল মালেক। পরবর্তীতে চুরির ঘটনা ঠেকাতে উল্টো গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেন বলে দাবী করেন তারা।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আবু তাহের বলেন, আবদুল মালেক অতীতে জনপ্রতিনিধিদের ঘর থেকে শুরু করে অনেকের বসতঘরে ঢুকে টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার চুরি করেছে। বর্তমানেও চুরি অব্যাহত রেখেছে সে। তার চুরির কারণে এলাকার মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারছেনা। এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কৃষ্ণ কুমার দাস বলেন, আবদুল মালেককে মারধরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কাজ চলছে।

Read Previous

পানছড়িতে আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা

Read Next

রামগড়ে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ