সোনালীর পরিবারের পাশে মানিকছড়ি ইউএনও
মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: জন্মনিবন্ধন ও দরিদ্রতার কারনে স্কুলে ভর্তি হতে না পারা খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার এয়াতলংপাড়ার স্কুল পড়ুয়া সোনালী মারমার পাশে দাঁড়ালেন মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রক্তিম চৌধুরী।
সম্প্রতি পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হতে না পারা সোনালী মারমা নামে পিতৃহীন ঐ শিক্ষার্থীর পরিবারের দরিদ্রতা ও মানবেতর জীবন-যাপনের চিত্র সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসার পর ২০ ফেব্রুয়ারি সোনালী মারমার ভাঙ্গা জরাজীর্ণ ঝুপড়ি ঘরটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তহিদ-উজ-জামানকে নিয়ে পরিদর্শন করেন ইউএনও রক্তিম চৌধুরী। এসময় সোনালী মারমার মা-বোনসহ তিন সদস্যের পরিবারের হাতে নগদ অর্থ ও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন।
সহায়তা পেয়ে আবেগাপ্লুত ম্রাসাউ মারমা বলেন, “আমি দুই কন্যা সন্তান নিয়ে দুঃখে কষ্টে দিনপাত করছিলাম। ব্যক্তিগত পরিচয়পত্রসহ মেয়েদের কাগজপত্র না থাকায় ও অভাব অনটনের কারণে মেয়েদের স্কুলে পড়াতে পারছিলাম না। ইউএনও স্যার এসে আমাকে খাদ্য সামগ্রী ও টাকা দিয়েছেন। মেয়েকে পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছেন, ঘরও করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। মেয়েদের নিয়ে সামনের দিনগুলো শান্তিতে কাটাতে পারবো”।
এসময় ইউএনও বলেন, “পরিবারটি প্রকৃত অসহায় ও ভূমিহীন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। পাশাপাশি খুব দ্রুত এই পরিবারের সদস্যদের জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র করে দেওয়াসহ সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প হতে একটি ঘর প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সোনালী মারমাকে স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে”।