লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চলছে ত্রাণ বিতরণ
স্টাফ রিপোর্টার: প্রাণঘাতি ‘করোনা ভাইরাস’ যুদ্ধে হিমশিম খাচ্ছে গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পরার আশংকায় চলছে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখার কর্মসূচি। ফলে উপজেলা থেকে উপজেলা, জেলা ও বিভাগী শহর সহ যোগযোগ বন্থ রয়েছ রাজাধানী ঢাকা শহর থেকেও। এতে করে বিপাকে পরেছে নিন্ম আয়ের মানুষগুলো। এ অবস্থা চলতে থাকলে বিপদের সস্মুখিন হতে পারে মধ্যবৃত্ত শ্রেনীর পেশার মানুষগুলোও। প্রাথমিক পর্যায় পরিস্থিতি সামাল দিতে খেটে খাওয়া নিন্ম আয়ের মানুষের খাদ্য চাহিদা মেটাতে ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রাণালয় শুকনা খাবার বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। জেলা প্রশাসকের জরুরি নির্দেশে কাল বিলম্ব না করে গত ২৯ মার্চ থেকে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ ইকবাল শুকনা খাবার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন।
লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফসার জাহিদ ইকবাল জানান, ১০টন চাল ও নগদ ৫০হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। প্রতিটি পরিবারের জন্য ১০ কেজি চাল, ১কেজি ডাল, ৫’শ গ্রাম তৈল, ৫’শ গ্রাম লবণ, ১ কেজি আলু বিতরণ করা হয়েছে ও ১টি সাবান প্যাকেটজাত করে নিন্ম আয়ের মানুষের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমও অব্যাহত আছে। ৩১ মার্চ মঙ্গলবার ২নং দুল্যাতলী ইউনিয়নে বেশ কিছু ওয়ার্ডে এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী, থানার ওসি হুমায়ুন কবির, দুল্যাতলী ইউপি চেয়ারম্যান ত্রিলণ চাকমা, সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যসহ সেনা কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অঘোষিত লক ডাউন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা কিংবা শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখা যেটাই বলা হোক না কেনো ২৬মাচ থেকে ৩১মার্চ পর্যন্ত ৬দিন পার হতে চলছে। এ অবস্থা দীর্ঘ মেয়াদী হলে এখন থেকেই সমাজের বৃত্তশালী কিংবা আরো অন্যান্য সংস্থাগুলোকে সময় পার হওয়ার সাথে সাথে খাদ্য চাহিদা মেটাতে এখনই মানবতার সেবায় জরুরী পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলে মনে করছে বিজ্ঞমহল।
পশ্চাৎপদ, দুর্গম, অনুন্নত, অবহিলত এক উপজেলার নাম লক্ষ্মীছড়ি। এখানকার পরিসংখ্যান বলছে এ উপজেলায় খেটে খাওয়া, দিন মজুরের সংখ্যাই বেশি। দৈনন্দিন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে উপার্জনের আর কোনো পথ খোলা থাকে না। তাই জনসংখ্যার বিবেচনায় না দেখে প্রকৃত গরীব এলাকা হিসেবে সকলের সু-দৃষ্টি দেয়া সময়ের দাবি।