লকডাউনের চতুর্থদিন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে নাভিশ্বাস খাগড়াছড়িবাসীর
স্টাফ রিপোর্টার: চাল- ডাল, শাক সব্জি, পেঁয়াজ- রসুন, মাছ-মাংসসহ নিত্য ব্যবহার্য্য প্রতিটি সামগ্রীর দাম বেশি। ব্যাবসায়ীরা বলছেন সরবরাহ কমে বিধায় দাম বেশি আর ভোক্তারা বলছেন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অস্বাভাবিক দাম নিচ্ছেন ব্যাবসায়ীরা।
খাগড়াছড়ি কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলুর কেজি ৩০ টাকা, বেগুন ১২০টাকা, পটল ৮০টাকা, বরবটি ১০০টাকা, কচুর লতি ৭০টাকা, ঝিঙা ১২০টাকা, শশা ৯০টাকা, লেবু প্রতিটি ১৫টাকা, মুরগি কেজি প্রতি ৫০০ টাকা, গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬০০টাকা, খাসির মাংস কেজি প্রতি ৮০০টাকা, সয়াবিন প্রতি লিটার ১২০টাকা, ছোলা কেজি ৯০টাকা, মুসুরির ডাল ১২০ টাকা, পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫০টাকা, রসুন ১২০টাকা, মাছ সর্বনিন্ম ২০০টাকা হতে সর্বোচ্চ ২০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি কাঁচা বাজারে কথা হয় ভোক্তা মাহবুব আলম, রফিক উদ্দিন, আবদুল আজিজ, স্বপন চন্দ্র দেবনাথ, মিনু মারমা, রিটন চৌধুরীসহ আরো বেশ কয়েকজনের সাথে, তারা প্রত্যেকেই জানান, ইতিপূর্বে কখনো এত চড়াদামে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে হয়নি, কিন্তু বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের চড়া দামে দিশেহারা তারা। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
খাগড়াছড়ি জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সুদর্শন দত্ত বলেন, বাজারের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ব্যাবসায়ীরা যে যার মতো দাম নিচ্ছে। প্রয়োজনের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার দাবি জানান তিনি।
বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলী চৌধুরী, ব্যাবসায়ী ফরিদ উদ্দিন, নুরুন্নবী মানিক, আমিনুল ইসলাম জানান, বাজারে সরবরাহ কম, তাই দাম বেশি। তাছাড়া লকডাউনের কারণেও পরিবহন খরচ বেশি বিধায় বেশি দামে পণ্য সামগ্রি বিক্রি করতে হচ্ছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন বাজারের সকল ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় চলে, এখানে সিন্ডিকেট করার কিছু নেই।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি তাকে অনেকে অবগত করেছেন এবং তিনি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন মর্মেও জানান।