মাটিরাঙ্গায় প্রতিহিংসার আগুনে পুড়ে প্রকৃতি ছাই

স্টাফ রিপোর্টার, মাটিরাঙ্গা থেকে: খাগড়াছড়ি জেলাধীন মাটিরাঙ্গার আমতলীতে ভুমি নিয়ে পুর্ব শত্রুতার কারণে পরিকল্পিতভাবে একটি সংঘবদ্ধ চক্র ফলজ বাগান সহ পরিপক্ক রাবার বাগান পুড়ে দিয়েছে কৃষক মোঃ ইয়াছিন মোল্লার। আমতলী ইউনিয়ন এর দেওয়ানপাড়া ৩নং ওয়ার্ডে গত ১৫ এপ্রিল আনুমানিক বিকাল ৪ ঘটিকার দিকে এই ঘটনা ঘটে। প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে যেভাবে সাজানো গোছানো প্রকৃতিকে পুড়িয়ে ছাইতে পরিণত করেছে, তা কোন সভ্য চিন্তার মানুষের কাজ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা।

প্রায় ৭ একর জমির কিছু অংশে ১৫০০ (পনের) শত উন্নত জাতের রাবার গাছ, কিছু অংশে উন্নত জাতের লিচু গাছ ও সেগুন কাঠের বাগান সৃজন করেছিলেন নিজের অনেক কষ্টার্জিত অর্থব্যয় করে জানিয়েছেন কৃষক ইয়াছিন মোল্লা । ঘটনার দিন বিকালে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে কৃষক মোঃ ইয়াছিন মোল্লা তার কাজের সহযোগিদের নিয়ে বাগানে গিয়ে দেখতে পান, প্রায় অর্ধশতাধিক লিচু গাছ, ১০ খেকে ১২ মুড়া কলাগাছ ও ১৫০০ শত রাবার গাছের সম্পুর্ন বাগান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ।

অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে নিজের বাগানে ছুটে গেলে তিনি অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেন একই এলাকার বাসিন্দা মোঃ জামাল মিয়ার তিন ছেলে করিম, মিজান, মনির হোসেন সহ তাদের সহযোগী মৃত আবুল মিয়ার ছেলে মনসুর আলী, আবদুর রহমান এবং মোঃ শামছু মিয়ার ছেলে এমরান হোসেনকে। অভিযোগকালে ভুক্তভোগী মোঃ ইয়াছিন মোল্লা জানায়-দীর্ঘদিন ধরে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল পার্শ্ববর্তী মোঃ জামাল হোসেন ও তার সহযোগীদের সাথে। অগ্নিসংযোগে প্রাথমিকভাবে কৃষক মোঃ ইয়াছিন মোল্লা ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষাধিক টাকার মতো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে ধারনা করেন জনপ্রতিনিধি সহ স্থানীয়রা ।

ব্যাংক থেকে ঋন নিয়ে এই লিচু বাগান সৃজন করেছিলেন জানিয়ে কৃষক মোঃ ইয়াছিন মোল্লা জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে ২০২০ সালেও একবার বাগানে অগ্নিসংযোগ করার সাথে সরাসরি জড়িত অভিযোগে দোষি সাব্যস্ত হয়েছিলেন একজন। এবিষয়ে এলাকার ফটিক সর্দার বলেন, এর আগেও একবার জামাল মিয়ার ছেলে ও তার স্ত্রী মিলে ইয়াছিন মোল্লার বাগানে আগুন লাগিয়েছে তবে সেবারে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ কম থাকায় আমরা এলাকাবাসী মিলে সেটা মিমাংসা করে দিয়েছিলাম,কিন্তু এবার যে ক্ষতি সাধন হয়েছে তা অপূরনীয় এর সুষ্ঠ বিচার এর দাবি জানান তিনি।

আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের ০৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার খোকন হাজারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি বিষয়টি শুনার পরই ঘটনাস্থলে ছুটে যাই এবং চেয়ারম্যান সাহেবকে জানাই, কেউ না কেউ পরিকল্পিত ভাবে আগুন লাগিয়ে তা সত্য। ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ায় স্থানীয় ভাবে তা মিমাংসা করা সম্ভব না বলে পুলিশ ও আদালতের সরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেই। আমতলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গণি কাছে অগ্নিকান্ডের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুকনো মৌসুমে অল্পতেই আগুন জ্বলে উঠে । প্রথমিক অবস্থায় কোন সিগারেটের অগুন থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে এমনটা ধরনা করছেন তিনি। অভিযোগটি অস্বীকার করে অভিযুক্তের পরিবার জানান- লিচু ও রাবার বাগান পোড়ানোর বিষয়ে তারা কিছু জানে না এবং ঘটনাস্থলেও তারা ছিলেন না। এ সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট

Read Previous

পানছড়ির মনি পাড়ায় দৃষ্টিনন্দন মণিরাজ ফুল

Read Next

লকডাউনের চতুর্থদিন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে নাভিশ্বাস খাগড়াছড়িবাসীর