জুবাইর ইমন, পানছড়ি: পানছড়ি উপজেলার ১নং লোগাং ইউপির মনি কার্বারী পাড়ার মনচন্দ্র চাকমার বাড়িতে ফুটেছে মণিরাজ ফুল। পঁচাত্তর বছর বয়সী মনচন্দ্র প্রেমদাশ চা
জুবাইর ইমন, পানছড়ি: পানছড়ি উপজেলার ১নং লোগাং ইউপির মনি কার্বারী পাড়ার মনচন্দ্র চাকমার বাড়িতে ফুটেছে মণিরাজ ফুল। পঁচাত্তর বছর বয়সী মনচন্দ্র প্রেমদাশ চাকমার সন্তান। তার বাড়ির আঙিনায় শোভা পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন মনিরাজ। সরেজমিনে মধুমঙ্গলপাড়ার বুক চিরে বয়ে চলা চেংগী নদী পার হয়ে উঁচু-নিচু পাহাড় বেয়ে কিলো খানেক গেলেই খুঁজে পাই মনচন্দ্র চাকমার বাড়ি।
সার্বিক সহযোগিতা করেন উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ক্রেডিট সুপারভাইজার উদয়ন চাকমা। মনচন্দ্র চাকমার সাথে কথা হলে তিনি জানান প্রায় চৌদ্দ বছর আগে পানছড়ি বাজার থেকে পঁচিশ টাকায় কেনা গাছটি এবারেই প্রথম ফুল দিল। ্প্রথমবারের মতো নিজ চোখে মনিরাজ দেখেই তার আত্মতৃপ্তি। এলাকার বয়োবৃদ্ধ পূর্ণমোহন চাকমা, মুক্তলতা চাকমারা জানায় জীবনে এই প্রথম দেখা মনিরাজ। জানা যায়, গাছের ফুলগুলো সাপের ফনার মতো দেখা যায় বলে মুলত: সাপুড়েরা এই গাছকে মণিরাজ বলে প্রচার করে থাকে। মনিরাজ গাছ দুষ্প্রাপ্য না হলেও এর ফুল দুষ্প্রাপ্য। সব গাছে আবার ফুল ফোটে না। তাই মনিরাজ ফুল ফোটাকে সৌভাগ্য হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। একটি পূর্ণ বয়স্ক গাছের ঠিক মাথার মধ্যে গোলাকার দৃষ্টিনন্দন মোচা বের হয়। মোচা থেকে ফুলটি ফোটার পর প্রথমে সাদা রংয়ের থাকলেও দিন দিন এটি খয়েরি রং ধারণ করে। ফুল থেকে যখন ফলটি হয় তখন তা দেখতে বড় কাঁঠাল আকৃতির যা কিছুটা শরিফা ফলের মতো ছোট ছোট কোষে ভাগ করা।
তবে সহজেই একটা থেকে অন্যটা কোষ আলাদা করা যায়। এটা নানান রোগের কাজ করে বলে অনেকে জানান। পাহাড়ের বিভিন্ন বাজারে এটির কোষ বিক্রি করতে দেখা গেলেও গাছে ফোটা মনিরাজ বর্তমান সময়ে তেমন একটা দেখা যায়না বলে জানা যায়।