গুইমারা প্রতিনিধিঃ-
খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সিঙ্গিনালায় স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’র ব্যানারে গতকাল অবরোধ চলাকালে গুইমারায় মোটরসাইকেল, দোকানপাট, বসতবাড়ি, হলুদের গুদামে আগুন দেওয়াসহ দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে ৩ পাহাড়ী নিহত এবং ১৩ জন সেনা সদস্য আহত হয়।
গতকাল ২৮শে সেপ্টেম্বর রোববারের ঘটনায় আজও গুইমারা উপজেলার রামসু বাজার এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আজ সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। রামসু বাজার এলাকার প্রবেশমূখে এবং গুইমারা বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে সেনাবাহিনী, পুলিশ, আর্মড পুলিশ, বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি র্যাব-৭ এর সদস্যরাও টহল দিচ্ছে।
আজ সকাল থেকে গুইমারা বাজারের কিছু কিছু দোকান খুলেছে তবে অধিকাংশ দোকান বন্ধ রয়েছে। ১৪৪ ধারা ও অবরোধ চলমান থাকায় সাধারন মানুষ রাস্তায় বাহির হচ্ছেনা, দুরপাল্লার কোন যান বাহনও চলাচল করছে না তবে স্থানীয় কিছু স্বল্প সাড়ে সিএনজি ও অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে।
একজন নিরীহ বাঙ্গালী বলেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই পার্বত্য অঞ্চলে কিছুদিন পরপর যে কোন ইস্যু নিয়ে হাঙ্গামা তৈরি হয় এতে এলাকার এবং জনমানুষের ক্ষতি হয়। সেজন্য যে সেনা ক্যাম্পগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে সেগুলো আবার পুনরায় স্থাপন করার দাবি জানান।
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এনামুল হক চৌধুরী বলেন, গতকালের ঘটনার জন্যে পুরো উপজেলা জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।