সেনাবাহিনীর অভিযানে আবারো লক্ষ্মীছড়ির বর্মাছড়ি মুখ এলাকায় অবৈধ কাঠ আটক

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার: আবারো খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার বার্মাছড়িমুখ এলাকা সংলগ্ন কলাবুনিয়া এলাকায় ইউপিডিএফ (মূল) ও তাদের সহযোগী কাঠ পাচারকারীদের মজুদকৃত বিপুল পরিমাণ অবৈধ কাঠ শনাক্ত করা হয়েছে বলে সেনাবাহিনীর সূত্র নিশ্চিত করেছে। ৫নভেম্বর লক্ষীছড়ি জোন কর্তৃক বিশেষ অভিযান চলাকালীন একটি টহল দল উল্টাছড়ি এলাকা থেকে বার্মাছড়িমুখ ফেরার পথে কলাবুনিয়া ও দুলুপাড়া এলাকার মাঝামাঝি পাহাড়ি ছরায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ কাঠ শনাক্ত করে।

টহল দলটি প্রায় ১,২০০ পিস কাঠের লগ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়। সূত্র জানায়, ইউপিডিএফ ও তাদের সহযোগী অবৈধ কাঠ পাচারকারীরা দীর্ঘদিন ধরে ঐ এলাকায় কাঠ মজুদ করছিল এবং তা বার্মাছড়িমুখ হয়ে ফটিকছড়ি-রাউজান অঞ্চলে পাচারের পরিকল্পনা করছিল। সেনা সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে অসাধু কাঠ পাচারকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে কাউখালী বন বিভাগকে অবহিত করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তি, শৃঙ্খলা ও পরিবেশ সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর এবং পার্বত্য অঞ্চলে অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের সহযোগিতায় কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

এর আগে ২৯ নভেম্বর সেনাবাহিনী প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফের অর্থের অন্যতম প্রধান উৎস অবৈধ কাঠ পাচারের বিশাল চালান আটক করা হয়। উপজেলার বর্মাছড়িমুখ বাজার সংলগ্ন দেওয়ানপাড়া এলাকা থেকে অবৈধভাবে পাচারকালে প্রায় ৪,০০০ ঘনফুট কাঠ উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর লক্ষ্মীছড়ি জোন। উদ্ধারকৃত কাঠের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। পরে বন বিভাগের রহস্যজনক নিরবতায় দুস্কৃতিকারিরা উক্ত কাঠ অন্যত্র সরিয়ে ফেলে।

এর পর খিরাম সেনা ক্যাম্প কর্তৃক বকছড়িপাড়া এলাকা থেকে আরও ২০০ ঘনফুট কাঠ উদ্ধার করা হলো। যার বাজার মুল্য আনুমানিক ৪ লক্ষ টাকা। ১ নভেম্বর শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে এ কাঠ উদ্ধার করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা উভয় ক্ষেত্রেই পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত কাঠ বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে ২নভেম্বর লক্ষীছড়ি জোনের অধীন উল্টাছড়ি অস্থায়ী টহল ঘাঁটি হতে পরিচালিত আধিপত্য টহলের সময় কেরেক্কাটা এলাকায় পাহাড়ি ঝিরিতে অবৈধ কাঠের মজুদ শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে নিরাপত্তা বাহিনী প্রায় ৫০০ ঘনফুট অবৈধ কাঠ শনাক্ত করে এবং সংশ্লিষ্ট বন বিভাগ অফিসে অবগত করে। সাম্রপতিক সময়ে কাঠ পাচার রোধে সেনাবাহিনীর এই ধারাবাহিক অভিযানকে এলাকাবাসী সাদুবাদ জানিয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে বনবিভাগকে আরো সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়েছেন সচেতন মহল।