চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক রাঙ্গুনিয়ায় পাহাড় খেকোকে ধরে পুলিশে দিলেন
রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি : পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে আর ছাড় দেয়া হবে না। পাহাড় কাটার ফলে প্রকৃতিও প্রতিশোধ নিচ্ছে। পাহাড় কর্তনকারী মুল হোতা যে হোক তার বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাঙ্গুনিয়ার দক্ষিন রাজানগর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর লেলিঙ্গা টিলা পাহাড়ের কাটার সময় মাটি চাপায় শিশুসহ ৩জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান একথা বলেন। পাহাড় কাটার সাথে জড়িত মো. বাঁচা (২৫) কে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান নিজে আটক করে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপ্দ করেন।
এসময় পাহাড় কাটা ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ.ন.ম আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যার মোহাম্মদ আলী শাহ্, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন, রাঙ্গুনিয়া সহকারি কমিশনার (ভূমি) পূর্বিতা চাকমা, রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ মো. আহসানুল কাদের ভুঞা, ইছামতি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আব্দুল হামিদ, রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সামসুল আলম তালুকদার, দক্ষিন রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান আহম্মদ সৈয়দ তালুকদার।
গত রোববার পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম পরিচালক মোখলেছুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেলোয়ার হোসেন পাহাড় কাটা এলাকা পরিদর্শন করেন। ইছামতি রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান, পাহাড় কাটার মাটি চাপায় মর্মান্তিক মৃত্যুতে মো. দুদু মিয়া (২৫), মো. মোরশেদ (৩০), মো. রফু (২৫), মো. জাহাঙ্গীর (২৫), মো. আজাদ (২৫), মো. বাচা (২৬) কে আসামী করে মামলা করেছে চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগ।
পাহাড় কাটার সাথে জড়িত মুল হোতাদের অনেকের নাম মামলার এজাহারে অর্ন্তভুক্ত হয়নি বলে দক্ষিণ রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান আহম্মদ সৈয়দ তালুকদার জানিয়েছেন।