আঞ্চলিকদলের দ্বন্দ্বে খাগড়াছড়িতে ৫টি হাট-বাজর বন্ধ
খাগড়াছড়ি খাগড়াছড়িতে আঞ্চলিক দলের দ্বন্দ্বের কারণে ৫টি হাট-বাজর বন্ধ হয়ে গেছে। ইউপিডিএফ প্রসীত ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের আধিপত্য বিস্তারের জেরে দুই সংগঠনের পাল্টা-পাল্টি হুমকিকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়িতে ৫টি হাট-বাজার অনিন্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। সে সাথে খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কে অঘোষিত হরতাল চলছে।
এ কর্মসূচির কারণে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার স্বনির্ভর বাজার থেকে পানছড়ি পর্যন্ত ৫টি হাট-বাজারের সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। চলছে না তেমন কোন যানবাহনও। সে সাথে পাহাড়িদের কাছে পণ্য বিক্রয় ও ক্রয় নিষিদ্ধের কারণে কোন পাহাড়ি হাট-বাজারে আসছে না। বৈসাবি উৎসবের আগে হঠাৎ করে অনিন্দিষ্টকালের জন্য হাট বাজার বর্জন ও বন্ধ করে দেয়ায় আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, পানছড়ি বাজারে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের নেতাকর্মীদের অবস্থানের প্রতিবাদে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের হুমকিতে গত বছরের ২০ মে থেকে পাহাড়িরা পানছড়ি বাজারে আসা বন্ধ করে দেয়। এতে কয়েক হাজার ব্যবসায়ী আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে। দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক গতকাল সোমবার থেকে খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কে যানবাহনে পাহাড়িদের বহন ও পণ্য বিক্রয় ও ক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
ব্যবসায়ীরা জানান, আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় হাট বাজার বন্ধ করে দিচ্ছে। সাধারণ পাহাড়ীদের বাজারে না আসতে হুমকি প্রদান করছে। বৈসাবি উৎসবের আগে হঠাৎ করে অনিন্দিষ্টকালের জন্য হাট বাজার বর্জন ও বন্ধ করে দেয়ায় আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের কেন্দ্রীয় নেতা মাইকেল চাকমা বাজার বর্জন ঘোষণা অস্বীকার করে বলেন, পানছড়ি বাজারে সন্ত্রাসীদের অবস্থানের কারণে সাধারণ পাহাড়িরা বাজারে আসছে না। অপর দিকে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্যামল কান্তি চাকমা পাল্টা অভিযোগ করে ইউপিডিএফ প্রসীত সাধারণ পাহাড়িদের জিম্মি করে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করছে। তারা দীর্ঘ এক বছর ধরে পানছড়ি বাজারে সাধারণ পাহাড়িদের আসতে বাঁধা দিয়ে আসছে।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরে আলম বলেন, আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।