খাগড়াছড়িতে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আ.লীগ-যুবলীগের ৫ নেতাকর্মী আটক
খাগড়াছীড় প্রতিনিধি: খাগড়াছড়িতে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার জেরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা ও কেএসটিসি হাসপাতালে হামলা, ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত দুই শতাধিক সন্ত্রাসীকে আসামি করে মামলা হয়েছে সদর থানায়। এ মামলায় আওয়ামী লীগন ও যুবলীগের ৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
৬ অক্টোবর রবিবার রাতে কেএসটিসি হাসপাতালের মালিক কল্যানী চাকমা বাদী হয়ে মামলাটি দয়ের করেন। খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন মৃধা মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাতেই অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আটকৃতরা হচ্ছে, জেলা যুবলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান, পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরু মোহাম্মদ, যুবলীগ কর্মী ইসমাইল হোসেন, শাহজাহান ইমরান ও কামরুল হাসান।
গত ১ অক্টোবর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণে চেষ্টার অভিযোগ এনে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যা করে। এর জেরে শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। একদল দুস্কৃতিকারী মহাজন পাড়া ও পানখাইয়া এলাকায় অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কেএসটিসি হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাট চালায়।