ছাত্রলীগ নেতা রাফির উপর হামলার রহস্য: শশুর-জামাই মিলেই ডাকাতি করে
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: ছাত্রলীগ নেতা রাফির বাড়ীতে ডাকাতি ও হামলার ঘটনার রহস্য উৎঘাটন করার দাবী করেছে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত মোঃ জামাল উদ্দিন (২৪) নামে এক ডাকাত করেছে তারা সোমবার রাতে। সে ভূজপুর থানার পশ্চিম ভূজপুর গ্রামের চৌকিদার টিলার মোঃ ইছহাকের পুত্র। তবে জামালের শাশুর বাবুলকে গ্রেফতার করতে পারলে ঘটনার মুল রহস্য উদঘাটন হবে বলেও পুলিশ দাবী করেন। গ্রেফতার জামালকে গতকাল চট্টগ্রামকোর্টে চালান দিলে পুলিশ আদালত তার ১৬৪ ধারা জবানবন্ধী নিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মো. দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া।
উল্লেখ্য, গত ১১ জানুয়ারী গভীর রাতে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ইমরুল ইসলাম রাফির সুন্দরপুর ছোট ছিলোনিয়ার বসত ঘরে একদল ডাকাত হানা দেয়। এসময় ডাকাতরা দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে রাফিকে গুরুতর জখম করে ৩টি মোবাইল, নগদ টাকা, স্বর্ণলংকার লুট করে নিয়ে যায়। পরদিন ফটিকছড়ি থানা ছাত্রলীগ সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানায়। পুলিশ ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিলে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে। এ ঘটনায় ১৬ জানুয়ারী রাফির পিতা মোঃ নজরুল ইসলাম সিকদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২০/২১ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরো জানান, তথ্য প্রযুক্তির সাহায়্যে লু্িন্ঠত মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে ডাকাতদলের সদস্য জামালকে চিহ্নিত করি। ডাকাতির সময় জামাল ছিল বাইরে। তার শাশুর বাবুলের নেতৃত্বে ডাকাতি ও হামলার ঘটনা ঘটে। বাবুলের ৪-৫টি মেয়ে আছে। সব গুলোর বিয়ে হয়েছে কোন না কোন ডাকাতের সাথে। আমরা সম্ভাব্য সব স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
ফটিকছড়ি থানার ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, জামালের নিকট থেকে রাফির লুণ্ঠিত মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জামাল এ ঘটনার সাথে অন্যান্য ডাকাতদের পরিচয় পুলিশকে জানিয়েছে। জামাল ও তার শশুর বাবুল মিলে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। এর সাথে চট্টগ্রাম জেলার আন্ত:জেলা ডাকাতদলের আরো বেশ কিছু সদস্য জড়িত রয়েছে। মূলত জামালের শশুরই এ ডাকাতদলের নেতা। তারা দুজনে মিলে ফটিকছড়ির বিভিন্ন ডাকাতির ঘটনায় নেতৃত্ব দেন।