Homeস্লাইড নিউজশিরোনাম

ভিডিও কনফারেন্স’র মাধ্যমে খাগড়াছড়িতে বিদ্যুতের গ্রিড উপকেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: পিছিয়ে থাকা পার্বত্যাঞ্চলের উন্নয়নে ৫’শ ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ ও ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে দুর্গম এলাকায় সোলার প

মহালছড়িতে বিশাল আনন্দ শোভাযাত্রা
পূর্বশত্রুতার জের ধরে ১৫শ ফল গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা 
মা-বাবা’র ভালবাসায় সন্তান আলোকিত হওয়ার সিঁড়ি-পার্বত্যমন্ত্রী

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: পিছিয়ে থাকা পার্বত্যাঞ্চলের উন্নয়নে ৫’শ ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ ও ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে দুর্গম এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। ৫ আগস্ট রোববার দুপুরে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে খাগড়াছড়ি ১৩২/৩৩ কেভি বিদ্যুৎ গ্রিড উপকেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর সাড়ে ১২টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ২টি উপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ২১ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন সংযোগের উদ্বোধন শেষে খাগড়াছড়িবাসীর সাথে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মো: রাশেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিদ্যুৎ গ্রিড উপকেন্দ্রের উদ্বোধন কালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন, শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, জেলা প্রশাসক মো: রাশেদুল ইসলাম ও স্কুল ছাত্র ধনিময় ত্রিপুরা।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যুতের উন্নয়নে মোট ৫৬৫ কোটি টাকার কাজ চলছে। ৬৮কোটি টাকায় দূর্গম পাহাড়ে সোলার ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ শুরু হয়েছে। যেখানে বিদ্যুৎ নেই, সেখানে সোলারের আলো জ্বলবে। প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য খুবই আন্তরিক। খাগড়াছড়ি ১৩২/৩৩ কেভি বিদ্যুৎ গ্রিড উপকেন্দ্রটি চালু হওয়ার দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর খাগড়াছড়িবাসীর বিদ্যুৎ ভোগান্তির অবসান হয়েছে।

উল্লেখ্য, এরআগে গত ৫ এপ্রিল খাগড়াছড়ির শহরতলী ঠাকুরছড়ায় নির্মিত গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে খাগড়াছড়ি ও আশপাশ এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হয়। সরকার ও এডিবি‘র সহায়তায় শহরতলীর ঠাকুরছড়ায় ৬ একর জায়গার উপর প্রায় গ্রিড উপকেন্দ্রটি স্থাপিত হয়। বিদেশি দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৩৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পুরো সঞ্চালন লাইন, উপকেন্দ্র নির্মাণসহ পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। কেবল উপ কেন্দ্রটি নির্মাণে খরচ হয় ৫৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। কাজের তদারকি করে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানী অব বাংলাদেশ। খাগড়াছড়ির ৯ উপজেলাসহ রাঙামাটির ২ উপজেলায় সাব স্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় এসেছে বলে জানা যায়।