• October 7, 2024

সংসদে মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদে এমপি বাসন্তী চাকমার অপসারণের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা কর্তৃক সেনাবাহিনী ও পার্বত্য বাঙ্গালীদের নিয়ে সংসদে দেয়া মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা প্রার্থনা ও তার অপসারণের দাবিতে খাগড়াছড়িতে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছে আঞ্চলিক ২টি বাঙ্গালী সংগঠন। এ সময় আগামী ৩রা মার্চ খাগড়াছড়িতে যৌথ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করার ঘোষণাও দেয় সংগঠনগুলো। ২ মার্চ শনিবার সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে পার্বত্য অধিকার ফোরাম কেন্দ্রীয় সংসদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বাসন্তী চাকমা সংসদে গেলেও তিনি তার প্রথম বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনগুলোর হাতে ধর্ষিত মিতালী চাকমা, জোসনা চাকমা, দীপা ত্রিপুরা, ইতি চাকমা, আয়না চাকমা, বালাতি চাকমার মতো নির্যাতিত নারীদের নিয়ে কোন কথা বলেনি।

কিন্তু শান্তিবাহিনীর গুনগান ও বাঙ্গালি এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করতে কার্পণ্য করেননি। তিনি সংসদে শুধু বাঙ্গালীকে সেটেলার বলে অপমানিতই করেননি, বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী ও মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করে কালিমা লেপন করেছেন। তিনি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত প্রায় ৩০হাজার বাঙ্গালীসহ সামরিক-বেসামরিক নিহতদের অপমান করেছেন। শান্তিবাহিনীর হামলায় ঐদিন আহত প্রায় ৫০০শত জনের অধিক বাঙ্গালী নিহত ও ৬২৪০টি বাড়ি লুটতরাজ করে সম্পূর্ণ ভাবে পুড়িয়ে দেয় বাসন্তী চাকমা‘র ভাই শান্তিবাহিনীর হায়েনারা। হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, দা-দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে জবাই করে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে, বেয়নেট ও অন্যান্য দেশি অস্ত্র দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে নানা ভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করেছিল এই অসহায় মানুষ গুলোকে। প্রতিটি লাশকেই বিকৃত করে সেদিন চরম অমানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। ১৯৮৬ সালের ২৯এপ্রিল রাতে খাগড়াছড়ি জেলাতে কয়েকটি গণহত্যা চালিয়েছিলো শান্তিবাহিনী।

যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ দীঘিনালা গণহত্যা ও মাটিরাংগা গণহত্যা, কুমিল্লাটিলা, শুকনাছড়ি, দেওয়ান বাজার, সিংহপাড়া, তাইন্দং গণহত্যা (১৯৮৬ সালের ১৮মে) এবং দিঘীনালা গণহত্যা (১৯৮৬ সালের ২জুলাই) ঐ বছরেই সংঘটিত হয়েছিলো।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post