র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে খাগড়াছড়ি অফিসার্স ক্লাবে গিয়ে র্যালি শেষ হয়। র্যালি শেষে আলোচনা সভায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু,র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স এর চেয়ারম্যান প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা সমবায় কর্মকর্তা আশীষ কুমার দাশ।
খাগড়াছড়ি জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মিজ নাজমুন আরা সুলতানা, খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিনিয়া চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) টিটন খীসা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো:শানে আলমম, পার্বত্য জেলা পরিষদের সমবায় বিভাগের আহবায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য নিলোৎপল খীসা,পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শুভ মঙ্গল চাকমা, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার জেলা আ,লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: দিদারুল আলম, বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স এর চেয়ারম্যান প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের সকলকে সঞ্চয়ী মনোভাব গড়েতুলতে হবে। যার যতটুকু খালি জায়গা আছে প্রত্যেককেই কৃষিপন্য উৎপাদন মূখী করে তুলতে হবে।
কারো সামান্য জমিও যাতে খালি পড়ে না থাকে সেদিকে সবাইকে নজর দিতে হবে। সমবায়ের মাধ্যমে আয় বৈষম্য হ্রাস করে ন্যায় ভিত্তিক একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।আমাদের সমাজের সার্থকতা হবে তখন যখন আমরা নিজেদের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে পারবো। সুখী সমৃদ্ধ জীবন যাপনের জন্য একতা বা সমবায়ের কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশকে সুখী সমৃদ্ধ। সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সমবায় কার্যক্রমকে আরো গতিশীল সক্রিয় যুগ উপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স এর চেয়ারম্যান প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, জেলার ১৫টি সফল সমবায় সমিতির শ্রেষ্ট সমবায়দের মাঝে সম্মাননার ক্রেষ্ট ও সনদ প্রদান করেন।