চট্টগ্রামের ইপিজেডে আবাসিক ভবনে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে চলছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম

চট্টগ্রাম অফিস: বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোডস্থ খালপাড় সংলগ্ন তিন তলা বিশিষ্ট আফরোজা ভবনের নিচ তলায় দীর্ঘদিন যাবত আবাসিক ভবনে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দ্বারা চলছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি, যার ক্ষমতার দাপটে মুখ খুলতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।

গত শনিবার (০২.১১.২০১৯ইং তারিখ) এমনি একটি ঘটনা এ প্রতিবেদকের চোখে পড়ে। সরকারি একজন সাবেক কর্মকর্তা সম্পূর্ণ বে-আইনি ভাবে বিদ্যুৎ চুরি করে আসছেন বছরের পর বছর। সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগকারী ব্যক্তির নাম মুমিনুল হক। স্থানীয় জনসাধারণের নিকট হক সাহেব নামে পরিচিত। তিনি নৌবাহিনীর অফিসিয়াল স্টিল আলমারি, র‌্যাক ও অন্যান্য আসবাবপত্র তৈরির জন্য বৈদ্যুতিক মিস্ত্রী ও শ্রমিক নিয়োগের মাধ্যমে হাই ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক মেশিন ব্যবহার করে তার বাড়িতেই কারখানা তৈরি করেছেন। যা সম্পূর্ণ বে-আইনি। ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির দুর্নীতি ও অনিয়ম এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি জানান, বিগত প্রায় দুই যুগ পূর্বে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন। তার উক্ত পদবী ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবত চালিয়ে যাচ্ছেন বে-আইনি কর্মকান্ড। অভিযোগ রয়েছে, তিনি সিডিএ’র অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণ ও সরকারি সম্পত্তি জবর দখল করেছেন এবং কর্ণফুলী ডিস্ট্রিভিউশন গ্যাস কোম্পানির মেইন লাইনের উপর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ভবন নির্মাণ করেছেন।

স্থানীয় এলাকাবাসীর প্রশ্ন- সরকারের একজন সাবেক কর্মকর্তা কিভাবে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন যাবত একের পর এক অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন? উক্ত দুর্নীতিবাজ ব্যক্তির খুঁটির জোর কোথায়? নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয়রা জানান, উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা অভিযুক্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ট আত্মীয় পরিচয় দিয়ে এলাকায় একের পর এক বে-আইনি কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে স্থানীয়রা কোনো প্রকার প্রতিবাদ করার সাহস পান না। সরেজমিনে অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্ত মুমিনুল হক প্রকাশ হক সাহেবের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত উক্ত অভিযোগের আংশিক সত্যতা স্বীকার করলেও পরিপূর্ণ ভাবে সদুত্তর প্রদান ও বৈধ কাগজপত্র প্রদর্শন করতে পারেননি।

এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য এ প্রতিবেদককে নানা ভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। স্থানীয়দের দাবী অবিলম্বে উক্ত দুর্নীতিবাজ নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হোক।

Read Previous

প্রথম স্ত্রীর মামলায় কারাগারে চট্টগ্রাম ইপিজেডের প্রতারক হুজুরের জামিন নামঞ্জুর

Read Next

গুইমারাতে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১লক্ষ টাকা জরিমানা