চট্টগ্রাম অফিস: চট্টগ্রামে অস্ত্র ও গুলিসহ ডাকাতির সময় ব্যবহৃত দুটি গাড়িসহ ডাকাত ও ছিনতাইকারী চক্রের ১১ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। ৩ নভেম্বর শনিবার ভোর
চট্টগ্রাম অফিস: চট্টগ্রামে অস্ত্র ও গুলিসহ ডাকাতির সময় ব্যবহৃত দুটি গাড়িসহ ডাকাত ও ছিনতাইকারী চক্রের ১১ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
৩ নভেম্বর শনিবার ভোরে নগরীর টাইগারপাস এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। রাতভর গাড়ি নিয়ে এই চক্রটি ডাকাতি, ছিনতাই এবং বিদেশগামী যাত্রীদের কাছ থেকে পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কেড়ে নিয়ে টাকা আদায় করতো এমন অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ জানায়, সীতাকুন্ডের গহীন পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান থাকলেও ডাকাত ও ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা রাত কিছুটা গভীর হলেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরে।
বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহন, ভোর রাতে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে গাড়ি থেকে নামা যাত্রী এবং রাস্তার পাশের দোকান তাদের মূল টার্গেট।ডাকাত দলের সরদার মো. সালাহ উদ্দিন গত আড়াই মাস আগে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় এসে ডাকাত দলকে শক্তিশালী করে আবারো ডাকাতিতে নেমে পড়ে।সিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান বলেন, ডাকাত দলের মূল টার্গেট আন্ত জেলা থেকে আসা বিভিন্ন যাত্রী যারা ভোরবেলা গাড়ি থেকে নামে।ডাকাত দলের এক সদস্য বলেন, ‘যাত্রীরা গাড়ি থেকে নেমে রিকশায় উঠলে আমরা ছিনতাই করি।
ডাকাত দলের আরো এক সদস্য বলেন, ‘প্রাইভেট কার নিয়ে যাই। সড়ক ফাঁকা হলে যাত্রীদের টার্গেট করতাম। ভোররাতে বিদেশীগামী কিংবা বিদেশ যাওয়া যাত্রীদেরও শিকারে পরিণত হতো এই দলের সদস্যদের হাতে। কেড়ে নিতো পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। এরপর পাসপোর্টে থাকা স্বজনদের কাছে ফোন দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে আদায় করতো লাখ লাখ টাকা। গত এক মাসে এই দলের বিরুদ্ধে ১৫টির বেশি ছিনতাই এবং ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে বলে জানান, সিএমপির কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসিন। আটককৃত ডাকাত দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিএমপির কোতয়ালী থানায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।