মাটিরাঙ্গার নতুন পাড়ায় এতিমখানা আগুনে পুড়ে ছাই

অন্তর মাহমুদ, মাটিরাঙ্গা: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় অগ্নিকান্ডে পুড়ে গেছে নতুনপাড়া ক্বেরাতুল কোরআন ক্বারিমিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা। এতে মাদরাসার আবাসিক শিক্ষার্থীদের বই-খাতা ও পোশাকসহ প্রয়োজনীয় সবকিছুই পুড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার সময় শিক্ষার্থীরা আছরের নামাজ আদায়ে পাশের মসজিদে অবস্থান করায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মাদরাসা ও এতিমখানার পরিচালক হাফেজ মো. নেছার উদ্দিন জানান, মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আছরের নামাজ পড়তে মাদরাসা মসজিদে গেলে হঠাৎ করে আবাসিক ভবনে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। মুহুর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা ভবনের ভেতরে ছড়িয়ে পড়ে আগুনের ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায়। এ সময় ৫০জনেরও বেশী শিক্ষার্থীর আবাসিক ভবনে রক্ষিত শিক্ষার্থীদের বই, পোশাক, খাবারসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

অগ্নিকান্ডের পরপরই ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ততক্ষনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ছাত্রদের বই-খাতা, কাপড়-চোপড়, বেডিং, ট্রাংক ও আসবাবপত্রসহ সবকিছু। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে বলে মাটিরাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী।

অগ্নিকান্ডে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরূপন করা না গেলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান পাঁচ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই গরিব ও অসহায়। যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, সরকারিভাবে সাহায্য পাওয়া না গেলে শিক্ষার্থীদেরও শিক্ষা জীবন এখানেই থেমে যাবে । হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।

এ দিকে অগ্নিকান্ডের পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সুবাস চাকমা। এছাড়াও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপ-সহকারী মো. রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।

এসময় শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের ব্যবস্থা করার আশ্বাস প্রদান করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ শিক্ষার্থীদের জন্য ত্রাণ তহবিল থেকে বরাদ্দ পাওয়া ৬০টি কম্বল প্রদান করেন। এছাড়াও খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক নগদ টাকা ও অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া ঘর মেরামতে প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে বলে জানান মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ।

Read Previous

খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে ইউপিডিএফ’র ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

Read Next

মানিকছড়িতে ছাত্রলীগের আয়োজনে সংবর্ধনা ও ইউনিয়নে ছাত্রলীগের পরিচিত সভা