লক্ষ্মীছড়ি ও মাটিরাঙ্গায় সড়ক অবরোধ পালিত
স্টাফ রিপোর্টার: খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি ও মাটিরাঙ্গায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)- এর ডাকা সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ পালিত হয়েছে। ইউপিডিএফ’র খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক মিঠুন চাকমার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে এ অবরোধের ডাক দেয়া হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
লক্ষ্মীছড়ি-মানিকছড়ি সড়কে গভীর রাত থেকেই গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে রাখে পিকেটাররা। ভোর হওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর কঠোর অবস্থান নেয়। লক্ষ্মীছড়ি-ফটিকছড়ি সড়ক, লক্ষ্মীছড়ি-দুল্যাতলী সড়ক, লক্ষ্মীছড়ি-বর্মাছড়ি সড়ক ও লক্ষ্মীছড়ি-মানিকছড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল করেছে খুবিই কম। শনিবার মানিকছড়ি হাঁটের দিন হলেও তুলনামূলকভাবে জীপগাড়ি ছেড়ে যায় নি। দুরপাল্লার গাড়ি লক্ষ্মীছড়ি-খাগড়াছড়ি বাস সার্ভিস ছিল বন্ধ। প্রকাশ্যে দিনের বেলায় বাইন্যাছোলা এলাকায় গাছির গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করার চেণষ্টা করে পিকেটাররা। তবে পুৃলিশ যাওয়ার সাথে সাথে পেকেটাররা পালিয়ে যায়। লক্ষ্মীছড়ি-মানিকছড়ি সড়কে লেমুয়া এলাকায় এক মোটরসাকেল চালককে মারধর করার খবর পাওয়া গেছে। লক্ষ্মীছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ আ: জব্বার বলেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কেউ যেনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটাতে না পারে সে দিকে আমরা সজাগ রয়েছি। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই বলে জানান তিনি।
মাটিরাঙ্গা: মাটিরাঙ্গায় ইউপিডিএফ’র অবরোধ পালিত কোন ধরনের সংঘাত বা সহিংসতা ছাড়াই শনিবার (৬জানুয়ারি) সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন সড়কের উপর গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে সমর্থকরা। অবরোধের কারণে উপজেলা সদরসহ আভ্যন্তরীন সড়কে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চলাচল করলেও দুরপাল্লার উদ্দেশ্যে কোন যানবাহন ছেড়ে যায়নি। ইউপিডিএফের আকস্মিক সড়ক অবরোধের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ ব্যবসায়ীরা। অবরোধকে ঘিরে যেকোন ধরনের নাশকতা এড়াতে ভোর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তাবাহিনী ও বিজিবিকে টহল দিতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য যে, প্রসীত বিকাশ খীসা সমর্থিত ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ’র সংগঠক মিঠুন চাকমা বুধবার ৩ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খাগড়াছড়ি আদালতে হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তার তলপেটে ও মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।