লাখ টাকার মুলা বিকিনিকি

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:মাইজভান্ডার দরবার শরীফের ওরশ শরীফের এক বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে মুলারবিকিনিকি। প্রতিটি মুলা ৫-১০ কেজি। প্রতিবারের মতো ৭ মাঘ থেকে ১০ মাঘ পর্যন্ত দুপুর বেলা ভক্ত-আশেক-জায়েদীনদের জন্য সুস্বাধু ও আকর্ষণীয়খাবারের তালিকায় থাকে মুলা-গোস্ত। অনুসন্ধানে জানা গেছে, গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী জীবর্দশায় একদা ভক্ত-আশেকানদের বলেছিলেন, ”…..টি মহিষ পাক করিয়া খাওয়াইতে কি পরিমানে চাউল ও কয় খাছি মুলা লাগিবে”। এ জন্য মাইজভান্ডারের আশে পাশের ভক্তচাষীরা উচ্চ ফলনশীল চিনা মুলা, জাপানি মুলার  চাষ করে। ওরশের ৩ দিন আগেথেকে মাইজভান্ডার এলাকায় চাষীদের নানান জাতের নানান সাইজের মুলা কেনা-বেচা করতে দেখা যায়।
গতকাল মাইজভান্ডারের মেলায় অন্যান্য কিছুর মধ্যে হচ্ছে অন্যতম। নাজিরহাট থেকে মুল বিক্রি করতে আসা আজিজুল হক (৪৭) জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও তিন হাজার মুলা এনেছি। গত দুই দিনে অর্ধেক বিক্রি কওে প্রায় দুই লক্ষ টাকা ক্যাশ করেছি। প্রতিটি ১২০-২০০ টাকা পর্যন্ত মুল্য পেয়েছি। সুয়াবিল নাইচ্যার ঘাট এলাকার বর্গা কৃষক জহুর সামাদ (৫৫) জানান, ৩০-৩৫ বছর পূর্বে বাবার সাথে এখানে মুলা বিক্রি শুরু করি। এখনো করি। কষ্ট করেফসল ফলাই। ভালো দামও পাই। এগুলো এই ওরশে বিক্রি করতে না পারলে আর বিক্রি হবে না।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post