সিন্দুকছড়ি বাজারের প্লট দখলের চেষ্টায় উত্তেজনা, নিরসনে পূর্ণ:দতন্ত দাবি

গুইমারা প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নে বাজার সংলগ্ন এলাকায় একই জায়গার মালিক ৩জন বিরোধপূর্ণ জায়গা দখলের চেষ্টা করেন। স্থানীয় সালিশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এ ব্যাপারে সমাধান দিতে অক্ষম হলে মামলা মোকাদ্দমার স্বরাপন্ন হন এবং জমি দখলের পাঁয়তারাও করেন মালিক পক্ষ।
জমির মালিক আলী আহাম্মদ গুইমারা উপজেলার ২২৬ নং মৌজার সিন্ধুকছড়ি বাজার সংলগ্ন ৩২০ নং দাগের চৌহদ্দির অন্দরে ০.০৫ আদা শতক এবং আলম শেখ ০.০৫ আদা শতাংশ ভুমির মালিক। এই জমি নিয়ে তিনপক্ষের বাক-বিতণ্ডার মধ্যে এক পর্যায়ে মামলা হয়। মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় মাঝে মাঝে দখলিয়রা গ্যাঞ্জামের পাঁয়তারা চালিয়েছে। অপর জন সিন্দুকছড়ি এলাকার বাসিন্দা ময়ফুল বেগমের নামে ৩৪১ নং দাগের ০.২৮ শতক জায়গার বন্দোবস্তি রয়েছে অথচ একই জায়গা ৩২০ দাগের মালিক এখন ২জন অপর দিকে ৩৪১ দাগের মালিক ১জন। তবে ৩মালিকের দাবি কোর্টের রায় পেয়েছে। অতএব যার যার স্থান থেকে ব্যাক্তি বিরোধপূর্ণ জমি দখলের চেষ্টা সকলেই করেন। তার ফলে বিরোধ প্রতিনিয়তই রয়ে যায়।
মহাব্বত আলী ও তার স্ত্রী যাতে এই বিরোধপূর্ণ জমি দখল করতে না পারেন সেজন্য আলী আহম্মদ গুইমারা থানায় ১৪৫ ধারায় একটি অভিযোগ করেন। এরই প্রেক্ষিতে আদালত সহকারী কমিশনার (ভূমি), গুইমারায় পদ না থাকায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) দখল বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখর জন্য গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জকে নিদের্শ দেন।
স্থানীয় মহলের ভূমি কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি এই জায়গার পুনরায় তদন্ত এবং জায়গার সাবেক মালিক, বাজার হেডম্যান, কারবারি, মেম্বারসহ মাপ ঝোপ করে যার যার জায়গা তাকে বুঝিয়ে দিলে ভবিষ্যতে আর বিরোধ সৃষ্টি হবে না।
গুইমারা থানার মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শ্যামল কুমার রায় বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

Read Previous

পাহাড়ে বৈসু উৎসব’র ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা শুরু

Read Next

বৈসাবি উপলক্ষে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের পক্ষ থেকে প্রত্যাগত শান্তি বাহিনীর সদস্যদের নগদ অর্থ প্রদান