৩২ ধারা ৫৭ ধারার চেয়ে আরো বেশি ভয়ঙ্কর -মাহমুদুর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার: ৩২ ধারা ৫৭ ধারার চেয়ে ভয়ঙ্কর। ৫৭ ধারায় আমাকে(মাহমুদুর রহমান) চার বছর কারাভোগ করতে হয়েছে। সে মামলায় এখনও পর্যন্ত চার্জশিট দেয়া হয়নি। যদি ৩২ ধারা চালু হয় তাহলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হবে। সাংবাদিকদের গুপ্তচর উল্লেখ করে শাস্তির বিধান রেখে ভোটারবিহীন সরকার দুর্নীতিবাজ এমপি-মন্ত্রীদের বাঁচাতে ৩২ ধারার মতো ভয়ঙ্কর ধারা চালু করতে চাচ্ছে।

১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় খাগড়াছড়ি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মানহানী মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিনের জামিননামা জমা দিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান এসব মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা বিসর্জন দিয়ে অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামীলীগ সরকার দিল্লির কাছে স্বাধীনতা বিসর্জন দিয়েছে। দেশে অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার চর্চা চলছে। ভিত্তিহীন অভিযোগে সরকারের সাজিয়ে দেয়া রায়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। কিন্তু সুষ্ঠু বিচার হলে তিনি এই মামলায় খালাস পেতেন। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান তিনি।

আগামী সংসদ নির্বাচন বিষয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, নির্বাচনের আগে দখলদার সরকারকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে উৎখাত করে নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করে জনগণের ভোটারাধিকার পুন:প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এসময় কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আফজাল আহমদসহ খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী এডভোকেট মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ির চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে দায়ের হওয়া মানহানী মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। সোমবার খাগড়াছড়ির চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: জয়নাল আবেদীনের আদালতে জামিনের কাগজপত্র জমা দেয়া হয়েছে।

২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর ঢাকা প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুটক্তিমূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগে ১২ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমানের আদালতে এক কোটি টাকার মানহানীর মামলা দায়ের করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিশ্বজিৎ রায় দাশ।

Read Previous

আজ সৈয়দ শফিউল বশর মাইজভান্ডারীর ৯৯তম খোশরোজ শরীফ

Read Next

পার্বত্য চট্টগ্রামের পর্যটন সম্ভবনা বিকাশে সাংবাদিকদের সংলাপ