• June 16, 2025

খাগড়াছড়িতে কোরবানি পশুর হাট জমে উঠেছে , পাহাড়ের গরু সমতলেও চাহিদা বেড়েছে

 খাগড়াছড়িতে কোরবানি পশুর হাট জমে উঠেছে , পাহাড়ের গরু সমতলেও চাহিদা বেড়েছে

ছোটন বিশ্বাস, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি কোরবানি পশুর হাট জমে উঠেছে। তবে পাহাড়ে চেয়েও সমতলের ক্রেতার সমাগম বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে বাজারে। খাগড়াছড়ি পশুর হাট সাধারণত জেলা বাজার হিসেবে সমৃদ্ধ। এ বাজারে বিভিন্ন উপজেলা থেকে গরু বিক্রেতাদের সমাগম ঘটে। বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যাপারীরা এ বাজারে আসায় আসন্ন কোরবানি পশুর হাট জমে। তবে গরু ব্যাপারীদের মতে বৃষ্টির কারণে এখনো অনেক বাইরের ক্রেতা খাগড়াছড়িতে আসতে পারেনি। তারা আসলে হয়তো আমাদের পশুর হাট আরও জমজমাট থাকতো বলে আশা তাঁদের।

তবে ঈদের দিন ঘনিয়ে এলেও খাগড়াছড়ি জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট খাগড়াছড়ি বাজারে গৃহস্থলী যাবা পালিত গরু নিয়ে এসেছে তারা নায্যমূল্য না পাওয়ায় অনেকে গরু এখনো বিক্রি করছেন না। অপর দিকে অনেক ক্রেতা গরু দেখতে এসে কোরবানির জন্য গরু নিয়ে যাচ্ছে গরুর নিজেদের স্বাদ্যের মধ্যে হওয়ায়।

গরু বিক্রি করতে আসা অংচাই মারমা জানান, গরুটি আমার ঘরের পালিত গরু। ঘাস লতাপাতা ভুসি ছাড়া আমি কিছুই খাওয়ায়নি। ভাইটি নাকি চট্টগ্রাম থেকে এসেছে গরু কিনতে তাই ৫৫ হাজার টাকায় আমি গরুটি বিক্রি করলাম আজকে। আমিও খুশি একসঙ্গে এতগুলো টাকা এক সঙ্গে পাওয়ায়।

মহালছড়ি উপজেলা থেকে আসা খামারী ওবাইদ হক বলেন, এবারে কোরবানি ঈদের উদ্দেশ্যে ৬টি গরু বড় করেছে। এবং সেগুলো বাজারে বিক্রি করতে এসেছি। একটি বিক্রি করেছি। গরুর বর্তমানে খাদ্যের তুলনায় দাম কম হওয়ায় ছাড়ছি না। বাইরে থেকে যে কয়েকজন ক্রেতা এসেছে, তাদের বড় গরুর চেয়ে ছোট গরুর দিকে জোক বেশি।

চট্টগ্রাম থেকে আসা ক্রেতা নওশাদ হুদা সুজন জানান, খাগড়াছড়ি গরুর হাটে গরু কিনতে এসেছি। কারণ পাহাড়ের গরু প্রাকৃতিক খাদ্য ঘাস লতাপাতা খাইয়ে বেশিরভাগে মোটাতাজা করা হয়। পাহাড়ের গরুকে কোন প্রকার মোটা তাজা করনে ওষুধ খাওয়ানো হয়না বলে আমাদের বিশ্বাস। এবং শতভাগ হালাল বলে আমরা বিশ্বাস করি। তাই এতদূরে আশার একটি কারণ কুরবানীর জন্য সুস্থ সবল একটি পশু আমরা এবার ঈদে কোরবানি দিবো।

খাগড়াছড়ি পশুর হাটের ইজারাদার প্রতিনিধি মোঃ কামাল উদ্দিন বলেন, প্রতি বছর এ সময় হাটে ৩ থেকে ৪ হাজার গরু উঠত। তবে বৃষ্টির কারণে তুলনামূলক কম গরু উঠেছে। তবে বাইরের ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমরা ক্রেতা গরু প্রতি প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী হাসিল নিচ্ছি। ক্রেতাদে সাধ্য অনুযায়ী। পাশাপাশি আমাদের পুলিশ প্রশাসন, ব্যাংক কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন যাতে বাজারে কোন প্রকার অসুস্থ গরু, মলম পার্টি, ক্রেতা বা বিক্রেতারা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে তাদের তীক্ষ্ণ নজরদারির মাধ্যমে আমাদের সহায়তা করে যাচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুপর্ণা দে জানান, আসন্ন কোরবানকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়িতে অস্থায়ীভাবে ২৬ টি হাট বসেছে। এই ২৬টি হাটে ভেটেরিনারি ১৮টি টিম কাজ করছে। খাগড়াছড়িতে মোট পশু খামারীর ২ হাজার ৫শ ৫৮টি। মোট গরুর সংখ্যা ১৯ হাজার ১শ ১০টি। খাগড়াছড়িতে কোরবানি যোগ্য পরু চাহিদা ১৮ হাজার। যেহেতু হাজারে অধিক উদ্বৃত্ত আছে সেহেতু পাহাড়ের চাহিদা মিটিয়ে কোরবানি পশু চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী সহ বিভিন্ন চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে এবারো। সাধরণত পাহাড়ি অঞ্চলের গরু গুলো প্রাকৃতিক উপায়ে পালিত হয়। গরু গুলোকে কোনো মোটাতাজা করণ ঔষধ খাওয়ানো হয় না। তাই স্বাস্থ্য সম্মত।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোঃ আরেফিন জুয়েল পুলিশ, আসন্ন কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন জায়গায় পশুর হাট জমে উঠেছে ইতিমধ্যে। যাতে কোন ক্রেতা বা বিক্রেতা উভয়ে কোনো প্রকার প্রতারণা শিকার না হয় আমাদের পুলিশ প্রশাসনের টিম নিযুক্ত রয়েছে।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post

Leave a Reply