ফটিকছড়িতে খেজুর রস পাওয়া দূরহ
এম এস আকাশ , ফটিকছড়ি: চোখে পড়ত সারি সারি খেজুর গাছ,শীত এলেই থাকত গাছীদের ব্যস্থতা। খেজুর গাছ রস পড়ার উপযোগী করা,গাছ থেকে রস নেওয়া,পাড়ায় পাড়ায় হাঁক ডাকে রস বিক্রি করা। ঘরে ঘরে রস খাওয়ার ধুম। সব মিলিয়ে এসব ছিল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের অংশ। এখন আর সে দৃশ্যগুলো তেমন দেখা মিলছেনা। ফটিকছড়িতে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে খেজুর গাছ,ফলে খেজুর রস পাওয়া ও দুর্লভ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।
জানা যায় এক সময় ফটিকছড়িতে যেখানে সেখানে সারি বদ্ধ ভাবে নয়ন জুড়ানো খেজুর গাছের দৃশ্য চোখে পড়ত। আধুনিকায়নও নগরায়ণের ফলে বাংলার ঐতিহ্যের অংশ এই খেজুর গাছ আজ বিলুপ্ত প্রায় । ফলে খেজুর পাওয়া দূরহ হয়ে দাড়িয়েছে। উপজেলার পহাড়ি অঞ্চলে এখন কিছুটা চোখে পড়লেও নাজিরহাট বিবিরহাট নানুপুর সহ আরো বিভিন্ন অঞ্চলে বলতে গেলে খেজুর গাছ এখন বিলুপ্ত ।
এসব অঞ্চলের নতুন প্রজন্মদের অনেকে খেজুর রসের স্বাধটা কি রকম তা জানেনা। বিগত কয়েক বছর আগে ও রস বিক্রেতারা কাঁধে ভার করে রস বিক্রির হাঁক ডাক দিত ফলে যাদের খেজুর গাছ নেই তারাও রস খাওয়া থেকে বঞ্চিত হতো না। এছাড়া গাছিরা খেজুর গাছ রস করার উপয্ত্তু করে দিয়ে টাকা আয় করে স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করত। বৃদ্ধ আনোয়র হোসেন বলেন,এক সময় যেখানে সেখানে খেজুর গাছ ছিল। শীত এলেই এসব গাছ থেকে রস পড়ত। রস খেতে কত মধুর রস ছিল। এখনো মুখে লেগেই আছে। এখন গাছও নেই রসও নেই। ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লিটন দেবনাথ বলেন, ঐতিহ্যবাহি খেজুর গাছ সহ বিলুপ্ত প্রজাতির সকল গাছ পালা সংরক্ষণে আমরা প্রতি মৌসুমে কৃষক ও জনগণকে উদ্ভুদ্ধ করে যাচ্ছি।