হাজারীখীল বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে গুলিবিদ্ধ মৃত হরিন শাবক
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: হরিণ শাবক পড়ে আছে পাহাড়ের ঝিরিতে। পিটে গুলিবিদ্ধ। বড় বড় মাছি ভোঁ ভোঁ করছে চারিদিকে। এমন চিত্র দেখা গেছে ফটিকছড়ির হাজারিখীল বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের ভিতরে এক কিলোমিটারের মধ্যে। সম্ভবত, হরিণ শাবকটিকে ৪/৫ দিন আগে গুলি করেছে শিকারীরা। খুজে না পেয়ে শিকারীরা চলে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী পর্যটকরা এমন দৃশ্য দেখে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছে।
ফারহান নামে এক পর্যটক লিখেছেন, হাজারীখীল বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যে বন্যপ্রাণী শিকার নতুন কিছু নয়। এটি অনেক আগে থেকে হয়ে আসছে। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে আমাদের দেশের সব প্রাণী বিনষ্ট হয়ে যাবে । সাধারণ ভাবে এই বণ্য প্রাণীগুলো রক্ষা করার দায়িত্ব থাকে বনবিভাগের কাছে । বনবিভাগ থাকতেও যদি শিকার হয় তাহলে এই দোষ কী বনবিভাগের নয় ? বনবিভাগ কি জন্যে আছে আর ? থাকার চেয়ে না থাকাটাই উত্তম ।
ফটিকছড়ির তথ্য ভিত্তিক গ্রুপ “ডেসপারেক্টলি সিকিং ফটিকছড়ি- ডিএসএফ” এর কর্মীরা অভিযোগ করে লিখেছেন, “যেদিন এই হরিণটি শিকার হয়েছে সেদিন হাজারিখীল বিট কর্মকর্তা অসীম বাবু শহরে তাঁর নিজস্ব বাসায় অবস্থান করেছিলেন। চাকরী স্থান ছেড়েঁ যদি বাসায় বসে থাকে তাহলে তো বন্যপ্রাণী শিকার হবেই।” তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হাজারীখীল বনবিট কর্মকর্তা অসীম বাবু বলেন, হরিণ শিকারের অভিযোগে অভিযুক্ত স্থানে আমরা পরিদর্শন করেছি। কোন হরিণের মৃত দেহ পাইনি।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ির ইউএনও মো. সায়েদুল আরেফিন বলেন, হাজারীখীল বন্যপ্রাণী অভয়াশ্রমে বন্য প্রাণী শিকার না হওয়ার জন্য বনবিট রয়েছে, সেচ্ছাসেবক সিজিপি সদস্যরা রেয়েছে। এমনতো হবার কথা নয়। তবুও যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি ছড়িয়েছে খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবো।