খাগড়াছড়িতে বিপুল উৎসাহ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্যে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন

Homeস্লাইড নিউজশিরোনাম

খাগড়াছড়িতে বিপুল উৎসাহ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্যে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় ও ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্যে খাগড়াছড়িতে সার্বজনীন বুদ্ধ (বৈশাখী) পূর্ণিমা উদযাপন করা হয়েছে। সার্বজনীন বুদ্ধ

পিস্তলসহ আটক সাধন চাকমা দীঘিনালায় মঞ্জু হত্যাকারী
মানিকছড়িতে মানবিক স্বেচ্ছাসেবীর উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা প্রদান
টিপু হত্যার প্রতিবাদে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের বিক্ষোভ

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় ও ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্যে খাগড়াছড়িতে সার্বজনীন বুদ্ধ (বৈশাখী) পূর্ণিমা উদযাপন করা হয়েছে। সার্বজনীন বুদ্ধ (বৈশাখী) পূর্ণিমা উদযাপন কমিটি-২৫৬৬ বুদ্ধাব্দ ও সদ্ধর্মপ্রাণ বৌদ্ধ ভক্তবৃন্দদের আয়োজনে তথাগত ভগবান বুদ্ধের ত্রি-বার্ষিক বিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা উপলক্ষে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

রবিবার সকালে জেলা সদরের য়ংড বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মহাজন পাড়া শীবলী বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও বেলুন উড়ানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি থেকে নির্বাচিত সাংসদ ও ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স’র চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় উদযাপন কমিটির আহবায়ক কল্যাণ মিত্র বড়ুয়ার সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) গোলাম মোহাম্মদ বাতেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি রুপনা চাকমা, সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি প্রফেসর বোধিসত্ত্ব দেওয়ান, শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. সুধীন কুমার চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শতরূপা চাকমাসহ বৌদ্ধ ভিক্ষু, দায়ক-দায়িকারা।

মঙ্গল শোভা যাত্রায় হাজার হাজার বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দায়ক-দায়িকারা অংশ গ্রহন করে। এছাড়া বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারে পঞ্চশীল গ্রহনের পর বুদ্ধ পূজা, বুদ্ধ মুর্তি দান, সংঘদান,অষ্ট পরিস্কার দান ও ভিক্ষুদের পিন্ড দানসহ নানাবিধ দান করা হয়। এছাড়া সন্ধ্যায় হাজার বাতি প্রজ্জলন ও আকাশ বাতি (ফানুস) উত্তোলন করা হয়।